কলকাতা, 9 অগস্ট: মোটর ট্রেনিং স্কুলগুলি থেকে অতি সহজেই মিলছে গাড়ি চালানোর ছাড়পত্র । নেপথ্যে কাজ করছে দালাল রাজ । দালালদের কিছু টাকা দিতে পারলেই হাতে উঠে আসছে ড্রাইভিং লাইসেন্স এর মত একটি প্রয়োজনীয় নথি । কাজেই কোনও রকমের পরীক্ষা বা সঠিক প্রশিক্ষণ না-নিয়েই হাতে চলে আসছে ড্রাইভিং লাইসেন্স । আর অতি সহজেই এই ড্রাইভিং লাইসেন্স হাতে চলে আসার ফলে শহরে বাড়ছে ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনা (Road Accidents in Kolkata)। এমনটাই মত রাজ্য পুলিশের প্রাক্তন এডিজি নজরুল ইসলামের ।
রবিবার বালিগঞ্জ সার্কুলার রোডে এক জাগুয়ারের ধাক্কায় প্রাণ গিয়েছে সাথী দাস নামে আনন্দপুরের এক মহিলার । সেই সময় ঘাতক ওই গাড়ির চালকের আসনে ছিল 19 বছরের সুযশ পরশরামপুরিয়া (Suyash Parasrampuria)। জানা গিয়েছে,ঘটনার দিন ওই যুবক তার বন্ধুকে নিয়ে খেতে যাচ্ছিল । বালিগঞ্জ সার্কুলার রোডে যেখানে ঘটনাটি ঘটে, সেই সময় সুযশ পরশরামপুরিয়া ঘাতক জাগুয়ারের গতি ছিল ঘণ্টায় 100 কিলোমিটার ৷
প্রাক্তন এডিজি নজরুল ইসলামের মতে কোন রাস্তায় কত কিলোমিটার গতিতে গাড়ি চালালে বড়সড় বিপর্যয় থেকে রক্ষা পাওয়া যায়, সেই জ্ঞান আদৌ সুযশ সুযশ পরশরামপুরিয়া ছিল কি না, তা জানা উচিত । আর এখানেই উঠে আসছে মুড়ি-মুড়কির মতো মোটর ট্রেনিং স্কুলগুলি থেকে লাইসেন্স পেয়ে যাওয়ার ব্যাপারটি ।