কলকাতা, 19 নভেম্বর: স্কুল চালু হলেও কোনও সুরাহা হল না পুলকার মালিকদের। কারণ গাড়িতে একটি বা দু‘টি পড়ুয়া স্কুল যাচ্ছে। একটানা প্রায় 19 মাস স্কুল বন্ধ থাকায় খুবই খারাপ অবস্থায় পড়ে রয়েছে পুলকারগুলি। একদিকে গাড়ি মেরামতের খরচ অন্যদিকে ডিজেলের অস্বাভাবিক দামবৃদ্ধি। ফলে জেরবার অবস্থা গাড়ির মালিকদের। লকডাউন শিথিল হওয়ার পর বাস, অ্যাপ ক্যাব, ট্যাক্সি অটো-সহ অন্যান্য যানবাহন রাস্তায় নামলেও পুলকারগুলি রাস্তায় নামতে পারেনি।
প্রথম লকডাউনের পর কিছু মাস অভিভাবকদের তরফে গাড়ির ভাড়া দেওয়া হলেও স্কুল খোলার অনিশ্চয়তার কারণে বন্ধ হয়ে যায় সেই ভাড়াও। অন্যদিকে 18 বছরের নিচে এখনও শুরু হয়নি টিকাকরণের ব্যবস্থা ৷ তাই সেক্ষেত্রে বহু অভিভাবক পুলকারে তাঁদের সন্তানদের পাঠানো ঠিক বলে মনে করছেন না ৷ এর ফলে অর্থের অভাবে গাড়িগুলিকে আবার পথে নামাতে গেলে যে কাজগপত্রের প্রয়োজন, সেগুলির নবীকরণও করাতে পারেনি মালিকপক্ষ। এছাড়াও একটানা এতদিন বসে থাকার ফলে নানা যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিয়েছে গাড়িগুলিতে। সেগুলিকে মেরামতের খরচও প্রচুর। তাই পুলকার মালিকরা এক-দুটি গাড়ি পথে নামিয়েছেন। পুলকার ওনার ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সুদীপ দত্ত বলেন, "আমাদের অবস্থার কথা পরিবহণমন্ত্রীকে জানিয়েছিলাম। আমরা বলেছিলাম যে, প্রায় 2 বছর কোনও আয় হয়নি। মুখমন্ত্রী থেকে শুরু করে পরিবহণ ভবন সর্বত্র চিঠি দিয়েছি। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। বিমা, ট্যাক্স ও মেরামত মিলিয়ে খরচ প্রায় 70 থেকে 80 হাজার টাকা। এত টাকা কোথায় পাব আমরা? তাই পুরোদমে স্কুল চালু না হলে আয়ের মুখ দেখতে পাওয়া অসম্ভব।"