রেকর্ড পরিমান চাল বণ্টন পশ্চিমবঙ্গে, দাবি ফেয়ার প্রাইস শপ ডিলার্স ফেডারেশনের
অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস শপ ডিলার্স ফেডারেশনের জাতীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিশ্বম্ভর বসু দাবি করেন, এ রাজ্যের মতো রেশন ব্যবস্থা সারা ভারতে প্রায় কোথাও নেই বললেই চলে। সেই ব্যবস্থার বিরুদ্ধে কেউ কেউ সাধারণ মানুষকে উত্তেজিত করে তুলছেন ও ভুল বোঝাচ্ছেন বলে তাঁর অভিযোগ । তিনি বলেন, অনেকেই বলছেন যে, বহু জায়গায় রেশন দেওয়া হচ্ছে না। কিন্তু এমন একটিও রেশন দোকান নেই যেখানে রেশন বণ্টন করা হয়নি।
কলকাতা, 2 মে : পশ্চিমবঙ্গের সর্বকালীন রেকর্ড । 9 কোটি 96 লক্ষ জনকে বিনামূল্যে রেশন দেওয়ার ব্যবস্থা করা হল । আজ এই দাবি করেছে অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস শপ ডিলার্স ফেডারেশন । এই ফেডারেশনের জাতীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিশ্বম্ভর বসু বলেন, নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করতে কিছু মানুষ উসকানিমূলক কথাবার্তা বলছেন। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের সর্বকালীন রেকর্ড বিনামূল্যে রেশন দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে ।
যাঁদের NFSA কার্ড রয়েছে তাঁরা কেন্দ্র সরকারের তরফে বাড়তি 5 কেজি করে চাল ইতিমধ্যেই পাচ্ছেন। অন্যদিকে খাদ্য সাথী প্রকল্পে যাঁরা রয়েছেন তাঁদেরও 5 কেজি করে চাল দেওয়ার প্রক্রিয়া শুক্রবার থেকেই চালু হয়ে গেছে। রাজ্য খাদ্য সুরক্ষা যোজনা RKSY-I ও RKSY-2 র ক্ষেত্রেও বরাদ্দ বেড়ে 5 কেজি করে চাল দেওয়া হচ্ছে।
অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস শপ ডিলার্স ফেডারেশনের জাতীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিশ্বম্ভর বসু বলেন, "এ রাজ্যের মতো রেশন ব্যবস্থা সারা ভারতে প্রায় কোথাও নেই বললেই চলে। সেই ব্যবস্থার বিরুদ্ধে কেউ কেউ সাধারণ মানুষকে উত্তেজিত করে তুলছেন ও ভুল বোঝাচ্ছেন। অনেকেই বলছেন যে, বহু জায়গায় রেশন দেওয়া হচ্ছে না। এমন একটিও রেশন দোকান নেই যেখানে রেশন বণ্টন করা হয়নি। এমনকী, কোরোনা আক্রান্ত পরিবেশেও আমাদের কর্মচারীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে চলেছেন।" তিনি আরও বলেন যে, 63,69,406 জনকে রেশন দেওয়া হয়েছে এবং 9 কোটি 96 লক্ষ জনকে বিনামূল্যে রেশন দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে ।
পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় রেশন ডিলারের বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়েছে। 1 মে থেকে রাজ্যের সবকটি রেশন দোকানে অন্তর্দয় অন্ন যোজনার আওতায় যাঁরা রয়েছেন তাঁদের প্রতি মাসে অতিরিক্ত 5 কেজি করে চাল বন্টন করা হবে। এর আগে তাঁরা 2 কেজি চাল ও 3 কেজি গম পাচ্ছিলেন। এবার থেকে তাঁরা প্রতি মাসে পাবেন মোট 7 কেজি চাল ও 3 কেজি গম পাবেন। এই ক্ষেত্রে মাথাপিছু অতিরিক্ত 5 কেজি করে চাল বণ্টন করা হচ্ছে। বর্তমানে যাঁরা এই কার্ডের আওতায় তাঁরা 2 কেজি করে চাল পাচ্ছিলেন। আগামীকাল থেকে তাঁদের মাথাপিছু মোট 7 কেজি করে চাল দেওয়া হচ্ছে।