কলকাতা, 4 জুলাই : "আমি মাধ্যমিকে প্রথম হয়েছি ৷ আর আমার সাফল্যের পেছনে রয়েছে... ৷" বাংলার ঘরে ঘরে খুবই পরিচিত এই বিজ্ঞাপন ৷ মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের কৃতীদের দিয়েই নিজেদের মুদ্রণের প্রচার চালাতে অভ্যস্ত বাংলার নামী প্রকাশনা সংস্থাগুলি ৷ তবে করোনা আবহে পরিস্থিতি বদলেছে ৷ বাতিল মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক ৷ বই বিক্রির বাজার মন্দা প্রকাশনী সংস্থাগুলির ৷ তাই পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিজেদের স্ট্র্যাটেজিও বদলেছে তারা ৷
করোনা আবহে দেড় বছর ধরে স্কুল-কলেজ প্রায় বন্ধ ৷ নবম, দশম, একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের জন্য নানা বিধিনিষেধ মেনে স্কুল খোলা হলেও তা বেশিদিন চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি ৷ করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তেই ফের বন্ধ হয়েছে স্কুল ও কলেজ ৷ একে একে বাতিল হয়েছে বোর্ডের পরীক্ষা ৷ এই অবস্থায় প্রবল চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে প্রকাশনা সংস্থাগুলি ৷ কৃতী ছাত্রছাত্রীদের দিয়ে বিজ্ঞাপন করানোর নীতিতেও বাধ সেধেছে বর্তমান পরিস্থিতি ৷ পারুল প্রকাশনীর প্রধান গৌড়দাস সাহা জানালেন, ব্যবসার পরিকাঠামোই পুরো ভেঙে পড়েছে ৷ তাঁর কথায়, "ব্যবসা একেবারেই নেই ৷ স্কুল-কলেজ খোলা না-থাকায় খুব মুশকিল হয়েছে ৷ বিজ্ঞাপন তো দূর, ছাপার কাজই বন্ধ রয়েছে ৷ গত জানুয়ারিতে কিছু বই ছাপা হয়েছিল ৷ কিন্তু নির্বাচনের মাস দেড়েক আগে থেকে সব বন্ধ রয়েছে ৷ বই কেনারই লোক নেই, ছেপে আর কী করব ৷ যতদিন না স্কুল-কলেজ খুলছে, ততদিন বেচাকেনাই শুরু হবে না ৷"
আরও পড়ুন:করোনার তৃতীয় ঢেউ শিখরে পৌঁছানোর সম্ভাবনা অক্টোবর-নভেম্বরে
পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তাঁরা স্ট্র্যাটেজিগত কিছু পরিবর্তনও ঘটিয়েছেন বলে জানালেন পারুল প্রকাশনীর কর্ণধার ৷ তিনি বলেন, "এখন ছাত্রছাত্রীরা বেরোতে পারছে না, বইও কিনছে না ৷ তাদের কথা ভেবেই আমরা একটা ই-লার্নিং প্ল্যাটফর্ম আনছি ৷ সেখানে আপাতত নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীদের অনলাইনে পড়ানো হবে ৷ ডিজিটাল বোর্ড ব্যবহার করে লাইভ ক্লাস চলবে ৷ দেওয়া হবে স্টাডি মেটিরিয়াল ৷" এই প্রচেষ্টাকে সফল করতে পড়ার খরচও খুবই কম রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন গৌড়দাস সাহা ৷
আরও পড়ুন:কোভিডের নিত্যনতুন সংস্করণ চিনতে ভাইরাসের ডিএনএর চরিত্র বোঝায় জোর ভেঙ্কাইয়ার