কলকাতা, 5 সেপ্টেম্বর : আজ শিক্ষক দিবস (Teachers Day) । আর এই দিনে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় সর্বত্রই উৎসবের ছবি । পড়ুয়ারা শিক্ষক, শিক্ষিকাদের সম্মান জানাচ্ছেন । তবে এর একেবারে বিপরীত একটি চিত্র ধরা পড়ল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jadavpur University) । এখানে আজ শিক্ষকরা একত্রিত হয়েছিলেন এক বিক্ষোভ সমাবেশে । এই বিক্ষোভ মঞ্চ থেকে তাঁরা নিজেদের দাবিদাওয়া তুলে ধরেন ।
অধ্যাপকদের বিক্ষোভের স্মারকলিপি চলতি বছরে বেতন বাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজ্য সরকারি ব্যয় বরাদ্দ 23 শতাংশ কমেছে । গবেষণার খাতেও টাকা বন্ধ । ইউজিসির (UGC) বিভিন্ন বিভাগীয় গবেষণা প্রকল্প আপাতত বন্ধ । ডিএসটির মতো প্রজেক্টের ক্ষেত্রে শর্ত চাপানো হয়েছে । জানানো হয়েছে যে বাজেটের 25 ভাগ ব্যয়ভার বহন করতে হবে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে ।
এইগুলি-সহ আরও কিছু দাবি দাওয়া নিয়ে আজ শিক্ষক দিবসে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি কালো ব্যাজ পড়ে অবস্থান বিক্ষোভ করে । শিক্ষকদের মূল অভিযোগ যে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো পাবলিক ইনস্টিটিউশনে দৈনিক পঠনপাঠন চালানোই টাকার অভাবে সংকটে, সেখানে এই শর্ত সোনার পাথরবাটির মতো ৷ এই নীতিতে আখেরে লাভবান হচ্ছে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলি ৷ সরকারের নতুন শিক্ষানীতির লক্ষ্যই হল সরকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে উৎসাহ দেওয়া ।
অধ্যাপকদের বিক্ষোভের ব্যানার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির (JUTA) সাধারণ সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায় বলেন, "নয়া পে স্কেল চালু হওয়ার পরবর্তী চার বছরের এরিয়ার না দিয়ে কিংবা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) রায় সত্ত্বেও বকেয়া 31 শতাংশ মহার্ঘ ভাতা (DA) না দেওয়ার মধ্য দিয়ে আসলে আমাদের স্বীকৃত অধিকারকেই অস্বীকার করছে সরকার । পাশাপাশি চুক্তিভিত্তিক চাকরির যে নতুন সরকারি মডেল চালু হয়েছে, তাতে বর্তমান শিক্ষকদের যুক্ত করার প্রয়াস চলছে ৷"
অধ্যাপকদের বিক্ষোভের স্মারকলিপি তিনি আরও বলেন, "সরকারি দখলদারি বাড়ছে । নিরঙ্কুশ সরকারি নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখার উদ্দেশ্যে 11 বছর আগে তৈরি সরকারি আইনের ভিত্তিতে রাজ্যের কোথাও কোনও রেগুলেশন চালু হল না । তাই পরিচালন ব্যবস্থার প্রতিটি স্তরে গণতন্ত্রের অভাব দেখা দিচ্ছে । অন্যদিকে কলেজ ক্যাম্পাসের শাসকদলের গাজোয়ারি এবং শিক্ষক, শিক্ষিকার নিগ্রহ চলছে ।"
শিক্ষক দিবসেই অবস্থান-বিক্ষোভ যাদবপুরের অধ্যাপকদের বিক্ষোভকারী শিক্ষকরা জানান যে তাঁরা এই বিষয়টি নিয়ে অনেক আগেও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য সুরঞ্জন দাসকে জানিয়েছেন । আজ আবারও তাঁরা উপাচার্যর দ্বারস্থ হন ।
আরও পড়ুন :শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠানে বন্দিদের গলায় আবৃত্তি-গান, অন্য ছবি প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে