কলকাতা, 17 এপ্রিল : কোভিড-19 চিকিৎসার জন্য গত বছর যত বেড ছিল, তার থেকে অন্তত আরও 25-30 শতাংশের বেড বাড়াতে হবে । বেড না থাকলে অন্য হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করে দিতে হবে । কোভিড-19-এর দ্বিতীয় ঢেউ সামাল দিতে বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে এমনই নির্দেশ দিল রাজ্যের স্বাস্থ্য কমিশন ।
রোগী ফেরানো যাবে না, বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে নির্দেশ স্বাস্থ্য কমিশনের
শুক্রবার সন্ধ্যার পরে বেসরকারি হাসপাতালগুলির সঙ্গে বৈঠকে বসে রাজ্যের স্বাস্থ্য কমিশন ওয়েস্ট বেঙ্গল ক্লিনিক্যাল এস্টাবলিশমেন্ট রেগুলেটরি কমিশন । বৈঠক শেষে রাজ্যের স্বাস্থ্য কমিশনের চেয়ারপার্সন, বিচারপতি (অবসরপ্রাপ্ত) অসীমকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, কোভিড-19-এর চিকিৎসার জন্য গত বছর যে বেসরকারি হাসপাতালে যত বেড ছিল, তার থেকে অন্তত 25-30 শতাংশের মতো বেড বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে ।
শুক্রবার সন্ধ্যার পরে বেসরকারি হাসপাতালগুলির সঙ্গে বৈঠকে বসে রাজ্যের স্বাস্থ্য কমিশন ওয়েস্ট বেঙ্গল ক্লিনিক্যাল এস্টাবলিশমেন্ট রেগুলেটরি কমিশন । বৈঠক শেষে রাজ্যের স্বাস্থ্য কমিশনের চেয়ারপার্সন, বিচারপতি (অবসরপ্রাপ্ত) অসীমকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, কোভিড-19-এর চিকিৎসার জন্য গত বছর যে বেসরকারি হাসপাতালে যত বেড ছিল, তার থেকে অন্তত 25-30 শতাংশের মতো বেড বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে । এ দিনের বৈঠকে সকলে সহমত হয়েছেন যে, বেডের সংখ্যা আরও বাড়াতে হবে । সব মিলিয়ে আরও অন্তত 500-র মতো বেড বাড়ানো হচ্ছে বলে এ দিনের বৈঠকে জানা গিয়েছে । তবে, কোন হাসপাতালে কত বেড বাড়ানো হবে এবং কতদিনের মধ্যে ওই বেড বাড়ানো সম্ভব হবে, তা 24 ঘণ্টার মধ্যে কমিশনকে জানানোর কথা বলা হয়েছে । কিন্তু কোভিড-19 রোগীদের জন্য অবিলম্বে আরও বেড কীভাবে বাড়ানো সম্ভব, তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে এ দিনের বৈঠকে। গত বছর যখন কোভিড-19-এ আক্রান্তের সংখ্যা কমের দিকে গিয়েছিল, তখন কোভিড-19 রোগীদের চিকিৎসার জন্য যে বেড বাড়ানো হয়েছিল, সেখান থেকে কিছু বেড আবার নন-কোভিড রোগীদের জন্য ব্যবহার করা হতে থাকে। বিভিন্ন হাসপাতালে এখন অনেক নন-কোভিড রোগী ভর্তি রয়েছেন। ফলে, খালি বেড সেই অর্থে নেই। এই রোগীদের ছুটির পরে কোভিড-19 রোগীদের জন্য বেডের সংখ্যাটা আরও বাড়ানো যাবে। কমিশনের চেয়ারপার্সন এ দিন জানিয়েছেন, আগামী দুই সপ্তাহ কোনও প্ল্যানড সার্জারি, যে সার্জারি অপেক্ষা করা যেতে পারে, সেই ধরনের সার্জারি সব হাসপাতালে বন্ধ থাকবে। এর ফলে আরও কিছু কোভিড বেড পাওয়া যেতে পারে।কমিশনের চেয়ারপার্সন এদিন জানিয়েছেন, বেডের অসুবিধা রয়েছে যে বেসরকারি হাসপাতালে, সেখানকার সঙ্গে ছোট ছোট নার্সিংহোমকে টাই আপ করে বেডের সংখ্যা বাড়ানো যেতে পারে। বেসরকারি হাসপাতালগুলির তরফে জানানো হয়েছে, অনেক সরকারি সেট আপ আছে, যেগুলি সেভাবে ব্যবহৃত হয় না। সেই সেট আপ দেওয়া হলে ব্যবহার করতে পারে বেসরকারি হাসপাতালগুলি। এ ক্ষেত্রে কমিশনের চেয়ারপার্সন জানিয়েছেন, এই বিষয়ে কংক্রিট প্রোপোজাল দেওয়া হলে সরকারের সঙ্গে কথা বলা হবে। তবে, একজন রোগীও যেন বিনা চিকিৎসায় হাসপাতাল থেকে ফেরত না যায়। কোনও হাসপাতালে বেড না থাকলে ওই হাসপাতালে সংশ্লিষ্ট রোগীকে ন্যূনতম চিকিৎসা দিতে হবে। এর পরে ওই হাসপাতালে দায়িত্ব থাকবে অন্য হাসপাতালের সঙ্গে কথা বলে ওই রোগীকে ভর্তির ব্যবস্থা করা।
কমিশনের চেয়ারপার্সন এদিন জানিয়েছেন, গত বছর কোভিড-19-এর চিকিৎসার খরচ নিয়ে অনেক অভিযোগ শুনতে হয়েছে। এই কারণে, হাসপাতালের অভিযোগ জানানোর ব্যবস্থাকে কার্যকর করতে বলা হয়েছে এ দিনের বৈঠকে, যাতে এই ধরনের অভিযোগ না আসে। কমিশনের চেয়ারপার্সন জানিয়েছেন, ওই খানেই অভিযোগের নিষ্পত্তি করে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। এ ক্ষেত্রে যদি কমিশনের হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হয়, তার জন্য কমিশন প্রস্তুত। যাতে অভিযোগ না হয়, তার জন্য এটা প্রয়োজন।