কলকাতা, 25 ডিসেম্বর: ক্রিসমাসের আনন্দ এখন আর শুধু কোনও নির্দিষ্ট ধর্মের বেড়াজালে আটকে নেই । বড়দিন এখন সকলের। তাই কেক, পেস্ট্রি কিনতে সর্বত্র ভিড় জমাচ্ছেন সকলেই। সেই কারণে 'দা বেকারি'-তে এখন ব্যস্ততা তুঙ্গে। পুরো ডিসেম্বর মাস ধরেই চলছে কেক-পেস্ট্রি তৈরির কাজ। ক্রিসমাসের কেক কেনার হুড়োহুড়িও শুরু হয়ে গিয়েছে গত সপ্তাহ থেকেই। আর এ বছর দোকানে ভিড় এড়াতে মূল দোকানের বাইরেই কেকের একটি ছোটো কাউন্টার করা হয়েছে। সেখান থেকেও ক্রেতারা এসে নিজেদের পছন্দ মতো কেক কিনছেন।
একটানা বেশ কয়েক বছর বন্ধ থাকার পর নতুন নামে আবার খুলে যায় ললিত গ্রেট ইস্টার্ন হোটেল। একসময়ের শহরবাসীর অতি জনপ্রিয় এই হোটেলের বেকারি খুলে যায় 2013 সালে। পুরোনো দিনে এই গ্রেট ইস্টার্ন হোটেলের বেকারিটি পাউরুটি, প্লাম কেক, ফ্রুট কেকের জন্য বিখ্যাত ছিল। তাই কেকের আগের সেই স্বাদ ও মান এখনও বজায় রয়েছে কি না, তা নিয়ে প্রবীণদের মধ্যে মাঝেমধ্যেই চলে জোর আলোচনা ও বিতর্ক।
তবে শেফ মাধুমিতা মাহানতা বলেন, "আগের কেকের সেই স্বাদ ও মান এখনও অক্ষত রেখেছে দা বেকারি। কারণ এখানে আগেও যেমন কেকের মানের ক্ষেত্রে কোনওরকম সমঝোতা হত না। এখনও সেই ঐতিহ্যই বজায় রাখা হয়েছে। সে প্রচুর পরিমাণে ফুল ও ড্রাই ফ্রুটস ব্যবহার করাই বলুন বা আসল মাখন দিয়ে কেক তৈরিই বলুন। এছাড়াও আমাদের এখানে ড্রাই ফ্রুটস ও অন্য সামগ্রী দিয়ে যে কেক তৈরি করা হয়, সেগুলো প্রায় 3 থেকে 4 মাস ফলের রস ও অন্য পানীয়তে ভেজানো হয়। এর ফলে কেক খেতে আরও সুস্বাদু হয়ে ওঠে।"