কলকাতা, 19 নভেম্বর : অবিলম্বে স্কুল খোলার দাবিতে পথে নামলো স্কুলবাস মালিক ও চালক সংগঠন ৷ মিছিল করে মুখ্য়মন্ত্রীর কালীঘাটের বাড়িতে গিয়ে সেই মর্মে স্মারকলিপি দেওয়া হয় ওয়েস্টবেঙ্গল কন্ট্রাক্ট ক্যারেট অনার্স এন্ড অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের তরফে ৷ পুলকার ও বাস মালিকদের কোনও রকম আয় না থাকার সত্ত্বেও কর্মীদের বেতন দিতে হচ্ছে ৷ ফলে তাঁরা সমস্যার মধ্য়ে পড়েছেন বলে স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়েছে ৷
অবিলম্বে স্কুল খোলার দাবি, পথে স্কুলবাস মালিক সংগঠন, স্মারকলিপি মুখ্যমন্ত্রীকে - submits deputation to cm
মার্চ মাসে লকডাউনের সময় থেকে বন্ধ হয়ে রয়েছে স্কুলগুলি ৷ ফলে স্বাভাবিকভাবেই বন্ধ স্কুলবাস পরিষেবা ৷ তাই কোনও রকম আয় বা উপার্জন নেই স্কুল বাস ও পুলকার মালিকদের ৷ অর্থনৈতিক চাপের মধ্যে থাকা সত্ত্বেও তাঁরা কর্মীদের বেতন দেওয়া বন্ধ করেনি।
মার্চ মাসে লকডাউনের সময় থেকে বন্ধ হয়ে রয়েছে স্কুলগুলি ৷ ফলে স্বাভাবিকভাবেই বন্ধ স্কুলবাস পরিষেবা ৷ তাই কোনও রকম আয় বা উপার্জন নেই স্কুল বাস ও পুলকার মালিকদের ৷ অর্থনৈতিক চাপের মধ্যে থাকা সত্ত্বেও তাঁরা কর্মীদের বেতন দেওয়া বন্ধ করেনি। ফলে আর্থিক সমস্যার মধ্যে পড়েছে মালিক পক্ষ । তাই আজ ওয়েস্টবেঙ্গল কন্ট্রাক্ট ক্যারেট ওনার্স অ্য়ান্ড অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে স্কুলবাসের মালিক, চালক, সহ-চালক ও মহিলা অ্য়াটেনডেন্টরা কালীঘাট পার্ক থেকে মিছিল করে হাজরা মোড় পর্যন্ত যান। এরপর তাঁদের এক প্রতিনিধি দল মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি গিয়ে স্বারকলিপিও জমা দেয় । সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হিমাদ্রি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন যে, "আজ আট মাস ধরে আমাদের স্কুলবাসগুলো বন্ধ হয়ে রয়েছে । কোনও রকম উপার্জন নেই, অথচ আমরা কর্মচারীদের বেতন দিয়ে চলেছি । বাস দাড়িয়ে থাকা সত্ত্বেও সরকারকে রোড ট্যাক্স দিয়ে চলেছি । বিষয়টি নিয়ে আমরা আগেও বহুবার মুখ্যমন্ত্রী সহ বিভিন্ন দপ্তরে চিঠি দিয়েছি। তা সত্ত্বেও কোনও সুরাহা হয়নি। তার উপর আবার ফাইন চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে আমাদের উপর। তাই আজ আমরা মিছিল করতে বাধ্য হলাম। আমাদের স্বারকলিপিতে আমরা জানিয়েছি যে অবিলম্বে স্কুল খোলার ব্যবস্থা করতে হবে। স্কুলের বাসগুলি স্যানিটাইজ করার উপর আমরা জোর দেব এবং বাসের সংখ্যাও বাড়ানো হবে যাতে এক একটি বাসে অনেক পড়ুয়াকে একসাথে সফর না করতে হয়।"
তিনি আরও বলেন যে, "একমাত্র স্কুল খুললেই আমাদের পরিবার, যাঁরা আজ মৃত্যু মুখে পতিত হচ্ছে তা হবে না। পাশাপাশি যতদিন স্কুল না খুলছে ততদিন পর্যন্ত যাতে স্কুল কর্তৃপক্ষ এবং অভিভাবকরা যেন বাস ফি বাবদ মাসিক শতকরা 50 ভাগ দেন । অন্যদিকে আমরা এর আগে যা রোড ট্যাক্স দিয়েছি তা যেন ফিরিয়ে দেওয়া হয় । পাশাপাশি আমাদের আরেকটি আবেদন হল বাসের ক্ষেত্রে আগামী 6 মাসের রোড ট্যাক্স মকুব করা হোক।" শহর ও শহরতলি মিলিয়ে এই সংগঠনের প্রায় 5000 এর মতো বাস চলে । 20 হাজারেরও বেশি কর্মীর ভবিষৎ জড়িয়ে রয়েছে এই ব্যবসার সাথে ।