কলকাতা, 11 সেপ্টেম্বর: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্যালিকা মেনকা গম্ভীরকে (Maneka Gambhir) ব্যাংকক যাওয়ার পথে বিমানবন্দরে অভিবাসন দফতরে আটকানো হয় ৷ অভিবাসন দফতর থেকে জানানো হয়, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট তাঁর বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিশ জারি করায় (Look Out Notice on Abhishek Banerjee Sister in Law) তাঁকে কলকাতা বিমানবন্দরে আটকানো হয়েছে ৷ আর তার পরেই মেনকাকে সল্টলেকের ইডি দফতরে হাজিরার নোটিশ ধরানো হয় ৷ আর অভিষেকের শ্যালিকাকে আটকানো ও ইডি’র হাজিরার নোটিশ ধরানো নিয়েই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর ৷
এ নিয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের হুঁশিয়ারি, তৃণমূলের কোনও নেতা ও তাঁদের আত্মীয়রা দেশ ছাড়তে না পারবে না । এমনই ব্যবস্থা করা হবে ৷ তিনি বলেন, ‘‘কোনও তৃণমূল নেতা যেন দেশ ছাড়তে না পারে ৷ তাঁদের আত্মীয়রাও যেন দেশ ছাড়তে না পারেন ৷ সরকারি সম্পত্তি লুঠ করবে আর ফূর্তি করতে বিদেশ যাবে ! এখানকার মানুষ খেতে পাবেন না ৷ ফ্রি রেশনটা পর্যন্ত লুঠ করে নেওয়া হচ্ছে ৷ প্রত্যেকটা লোকের পেছনে ইন্টেলিজেন্সের লোককে লাগানো উচিত ৷ প্রত্যেককেই জিজ্ঞাসাবাদ করা উচিত ৷ কোথায় কোথায় সম্পত্তি রয়েছে, তা জানতে আশেপাশে সব লোকজনকে জেরা করা উচিত ৷’’
তবে, তৃণমূলও চুপ করে বসে থাকার পাত্র নয় ৷ রবিবার এর জবাবও দিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন ৷ তিনি বলেন, ‘‘প্রতিহিংসার রাজনীতির শিকার হয়েছেন মেনকা গম্ভীর ৷ তিনি তো আসল লক্ষ্য নন ৷ লক্ষ্য তো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ যাকে তারা (বিজেপি) যমের মত ভয় পায় । কয়েক বছরে বিরোধী 570 জন নেতা-নেত্রীর বিরুদ্ধে এই কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে কাজে লাগানো হয়েছে ৷ ইডি ও সিবিআই এর এই ধরনের ব্যবহার লজ্জার ৷ এই ধরনের রাজনৈতিক প্রতিহিংসা স্বাধীনতার পর থেকে কেউ দেখেনি ৷’’