কলকাতা, 27 জুন: পদ্মায় সেতু বন্ধনে আরও কাছাকাছি ঢাকা ও কলকাতা ৷ বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে পদ্মা নদীর উপর নির্মাণ হওয়া এই সেতু আদতে তাদের স্পর্ধার আত্মপ্রকাশ বলে জানিয়েছেন ওপার বাংলার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৷ বিশ্বে যার তুলনা একমাত্র আমাজন নদীর উপর তৈরি সেতুর সঙ্গে করা যায় ৷
শনিবারই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা 6 কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করেছেন ৷ যা নিয়ে বাংলাদেশের মানুষ খুবই উৎসাহিত এবং আনন্দিত ৷ একইরকম ভাবে এপার বাংলা অর্থাৎ, পশ্চিমবঙ্গের মানুষ এবং ব্যবসায়ীদের মধ্যেও আনন্দ দেখা গেল (People from Tourism and Other Businesses Happy for Inauguration of Padma Bridge) ৷ বিশেষ করে পর্যটন শিল্পের সঙ্গে জড়িত ব্যবসীয় মহল ব্যাপক ভাবে উচ্ছ্বসিত। কারণ, এই পদ্মা সেতুর কারণে আগের থেকে অনেক কম সময়ে কলকাতা থেকে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় পৌঁছে যাওয়া যাবে ৷ কমবে পরিবহণ খরচ, বাঁচবে সময় ৷ ফলে পর্যটন শিল্পের সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ী এবং পর্যটক সকলেই উৎসাহিত ৷
বছরভর বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা হোক বা চট্টগ্রাম ৷ বাংলাদেশের একাধিক জায়গা থেকে সে দেশের নাগরিকরা বেনাপোল ও পেট্রাপোল সীমান্ত পেরিয়ে কলকাতায় আসেন ৷ কেউ আসেন ঘুরতে আবার কেউ ব্যবসায়িক কাজে ৷ এমনকী অনেকে চিকিৎসার জন্য কলকাতায় আসেন সে দেশ থেকে ৷ বিশেষ করে অনেকে ভারতে ব্যবসায়িক কাজে মাসে বহুবার যাওয়া আসা করেন ৷ বাস-অটো, ফেরিতে সীমান্তে এসে পৌঁছন ৷ তার পর সেখান থেকে কলকাতায় আসতে হয় ৷ এ ভাবে প্রায় 12-13 ঘণ্টা সময় লাগে পদ্মার ওপারের বাসিন্দাদের কলকাতায় পৌঁছতে ৷ পদ্মা সেতু চালু হওয়াতে সেই সমস্যা আর থাকছে না ৷ দাবি, দুই বাংলার মানুষের ৷