কলকাতা, 25 সেপ্টেম্বর :দিল্লির রোহিণী আদালতের শ্যুটআউট কাণ্ড থেকে কি আদৌ কোনও শিক্ষা নিচ্ছে কলকাতার আদালতগুলি ? দিল্লির মতো শহরে, যেখানে নিরাপত্তার কড়াকড়ি অনেকটাই বেশি, সেখানেই রোহিণী আদালতের ভিতর চলল গুলি ৷ প্রাণ গেল কুখ্যাত গ্যাংস্টারের ৷ এরপর স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন জাগে, কেমন আছে আমাদের শহরের বিচারালয়গুলি ? সেখানকার নিরাপত্তা ব্যবস্থাই বা কেমন ?
কলকাতা শহরের এক প্রান্তে শিয়ালদা আদালত, অপর প্রান্তে আলিপুর আদালত ৷ মাঝে মধ্য কলকাতায় রয়েছে ব্যাংকশাল কোর্ট ৷ তবে এই আদালতগুলিতে নিরাপত্তার যে কোনও পোক্ত ব্যবস্থা নেই, তারই সাক্ষী হল ইটিভি ভারত ৷ ধরা পড়ল নিরাপত্তার বেহাল চেহারা ৷ কোথাও কোনও তল্লাশি নেই ৷ নেই স্ক্যানিংয়ের ব্যবস্থা ৷
নিরাপত্তায় ফাঁক যে বিশাল, তা মানছেন আইনজীবীদেরই একাংশ ৷ আইনজীবী কৌশিক গুপ্ত বলেন, ‘‘কলকাতা হাইকোর্টে তবু কিছুটা নিরাপত্তা থাকলেও, নিম্ন আদালতগুলির অবস্থা ভয়ঙ্কর ৷ যদি কেউ আইজীবীর কালো কোট বা কালো গাউন পরে গটগট করে ভিতরে ঢুকে পড়েন, তাহলে পুলিশ তাঁদের আটকায় না ৷ কোনও তল্লাশিও হয় না ৷ কলকাতা হাইকোর্টের স্ক্যানারগুলিও বিকেল পাঁচটার পরই বন্ধ করে দেওয়া হয় ৷ যেন এটা একটা চুক্তি ! বিকেল পাঁচটার পর কলকাতা হাইকোর্টে কোনও নাশকতা বা হামলা হবে না !’’ আইনজীবী অনির্বাণ গুহঠাকুরতা বলেন, ‘‘আদালতে কোনও নিরাপত্তা ব্যবস্থাই নেই ৷ যে কোনও সময় নাশকতামূলক ঘটনা ঘটতে পারে ৷’’