কলকাতা, 8 জুন: নবান্নের নির্দেশিকা মেনে আজ খুলেছে বহু সরকারি ও বেসরকারি অফিস । খুলেছে রেস্তরাঁ, শপিং মল । যদিও শহর সচল রাখতে বেশি পরিমাণে বেসরকারি বাস চলার কথা থাকলেও তার দেখা মিলল না রাস্তায়। ফলে, সোমবারও দুর্ভোগের শিকার হলেন পথে বেরনো নিত্যযাত্রীরা৷ যদিও বেসরকারি বাস সংগঠনের মালিকরা জানালেন, সোমবার বাসের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে রাস্তায়৷
গত সপ্তাহের তুলনায় শহর ও শহরতলির সবকটি রুটেই চলছে বেশি পরিমাণ বেসরকারি বাস৷ এমনটাই দাবি করছে অধিকাংশ বাস মালিক সংগঠন । তবে, যাত্রীদের অভিজ্ঞতা সম্পূর্ণ উলটো৷ তাদের মতে, শহরের পথে হাতে গোনা বেসরকারি বাস দেখা গিয়েছে । তবে, তুলনামূলক ভাবে সরকারি বাস বেশি চলতে দেখা গিয়েছে আজ। যদিও, মিনিবাস চোখে পড়েনি বলেই অভিযোগ৷ এই বিষয়ে বাস সংগঠনগুলির যুক্তি আলাদা৷
জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেটের সাধারণ সম্পাদক তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "যেখানে 100 শতাংশ বাস চলে সেখানে যদি 30 শতাংশ গাড়ি চলে তাহলে চোখে কম ঠেকবেই। সকাল থেকে বিভিন্ন রুটের বাস মালিকদের সঙ্গে কথা হচ্ছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, রাস্তা খালি, যাত্রী হচ্ছে না একেবারেই। ডালহাউসিতে বহু বেসরকারি বাস রয়েছে তবে যাত্রী গুটিকয়েক।"
বাস সংগঠনের উলটো অভিযোগ, রাস্তায় বাস বেরলেও যাত্রী তত নেই৷ তবে যে বেসরকারি বাসগুলিতে বাদুড়ঝোলা হয়ে যাতায়াত করছেন যাত্রীরা! সমাজিক দূরত্বের বালাই থাকছে না! এই বিষয় তপনবাবু বলেন, "স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাতায়াতের কথা বার বার বলা হয়েছে৷ তবু অনেকেই মাস্ক ছাড়া বাসে উঠে পড়ছেন। দাঁড়িয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে কন্ডাক্টরদের হাতে সবটা থাকছে না। যাত্রীরা একপ্রকার হুমকি দিয়ে, জোর করে বাসে উঠে পড়ছেন।"
তপনবাবু এই কথা বললেও যাত্রী ভোগান্তির চিত্রকে অস্বীকার করছেন না সমস্ত বাস সংগঠন৷ বেঙ্গল বাস সিন্ডিকেটের সহ-সভাপতি নীতীশ কুমার রক্ষিত বলেন, "বেশ কয়েকটি রুটে বাস চললেও বহু রুটে কম সংখ্যক বাস চলছে। আজকের দিনটা কেমন কাটল দেখে আগামীকাল বাসের সংখ্যা বাড়ানো হবে।"
বেসরকারি বাসের অভাবে ভোগান্তি শহরে৷ সব মিলিয়ে শহরে বাস চলাচল যে এক্ষুনি স্বাভাবিক হচ্ছে না তার ইঙ্গিত পাওয়া গেল বাস মালিক সংগঠনগুলির বক্তব্যে৷
অল বেঙ্গল বাস-মিনিবাস সমন্বয় সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাহুল চট্টোপাধ্যায় বলেন, "স্বাভাবিক সময়ের মতো স্বাভাবিক বাস পেতে কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। কিছু কিছু জোনে অনেক বাস চলছে। হয়তো কয়েকটি জোনে বাসের অভাব বোধ করছেন যাত্রীরা। বেশি সংখ্যক বাস চালাতে মালিকদের বেশ কিছু সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।"