কলকাতা, 13 জুলাই : পড়ুয়াদের সমস্যা নিয়ে একাধিকবার উচ্চশিক্ষা দপ্তরের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চেয়েছিলেন আচার্য তথা রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় । এতদিনে তাঁর সঙ্গে আলোচনায় রাজভবনে পৌঁছান শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় । আচার্যের সঙ্গে প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে বৈঠক চলে শিক্ষামন্ত্রীর । বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন উচ্চশিক্ষা দপ্তরের সচিব মণীশ জৈনও । বৈঠক শেষে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় সাংবাদিকদের জানান, চূড়ান্ত সেমেস্টারের পরীক্ষা নিয়ে রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানানোর জন্য আচার্যকে আবেদন জানানো হয়েছে ।
গত 6 জুলাই সংশোধিত গাইডলাইন জারি করে চূড়ান্ত সেমেস্টারের পড়ুয়াদের পরীক্ষার মাধ্যমে মূল্যায়ন আবশ্যিক করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন । অন্যদিকে, কোরোনা ভাইরাস নিয়ে চলা বর্তমান পরিস্থিতিতে পরীক্ষায় সায় নেই রাজ্যের । সংশোধিত গাইডলাইন জারির আগেই রাজ্যের তরফে অ্যাডভাইজারি জারি করা হয়েছিল । সেই অ্যাডভাইজারি অনুযায়ী ইতিমধ্যে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলি পড়ুয়াদের মূল্যায়ন প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছে বা চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে । এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের পরীক্ষা আবশ্যিকের সিদ্ধান্ত ফের বিবেচনার আবেদন জানিয়ে কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের উচ্চশিক্ষা দপ্তরের সচিবকে চিঠি দিয়েছেন রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দপ্তরের সচিব । সিদ্ধান্ত বিবেচনার আবেদন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি পাঠিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । উপাচার্য পরিষদের তরফেও জানানো হয়েছে, তাঁরা রাজ্যের অ্যাডভাইজারি মেনেই পড়ুয়াদের মূল্যায়ন করবেন । এসবের মধ্যেই গত 7 জুলাই উপাচার্যদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকের ডাক দিয়েছেন আচার্য তথা রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় । আগামী 15 জুলাই সকাল 11 টায় এই বৈঠকের ডাক দেওয়ার পর থেকে একের পর এক টুইট করে, মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে পড়ুয়াদের সমস্যার সমাধানে রাজ্য সরকারের সহযোগিতা চান আচার্য তথা রাজ্যপাল । এমনকী এর মধ্যে একদিন তিনি টুইটে জানান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর ঘরোয়া আলোচনা হয়েছে । ছাত্রদের সমস্যা নিয়ে আলোচনা করতে রাজভবনে আসছেন উচ্চশিক্ষা দপ্তরের সচিব মণীশ জৈন । যদিও সেদিন মণীশ জৈন রাজভবনে যাননি বলেই উচ্চশিক্ষা দপ্তর সূত্রে জানা গেছিল । তবে, আজ রাজভবনে পৌঁছান শিক্ষামন্ত্রী । সঙ্গে ছিলেন শিক্ষা সচিবও ।
বৈঠক শেষে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, "আচার্যকে বলেছি এই সংকটময় মুহূর্তে ছাত্রদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য ৷ কেন্দ্রকে যে আবেদন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করেছেন, উচ্চশিক্ষা দপ্তর করেছে, রাজ্য সরকার করেছে, তার পাশে দাঁড়াতে বলেছি । আমরা কোনও অবস্থাতেই স্বাস্থ্যবিধি না মেনে ছাত্রদের সংকটে ফেলতে চাই না । বলেছি, UGC-র আগের অ্যাডভাইজারি মেনেই আমাদের পরামর্শ বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে পাঠিয়েছিলাম । তারাও সবার সঙ্গে আলোচনার পর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন । আশা করি আজকের এই প্রেক্ষাপটে UGC, MHRD নিশ্চয়ই বিচার করবেন বিষয়টিকে । আমরা ছাত্রদের অহেতুক বিপদের মুখে ঠেলে দিতে চাই না ।"