কলকাতা, 26 জুলাই:শিক্ষকনিয়োগে দুর্নীতি মামলায় (SSC Recruitment Scam) 27 ঘণ্টা জেরার পর শনিবার গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তথা বর্তমানে শিল্প ও পরিষদীয় দফতরের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Clamour for Partha Removal)। কিন্তু এখনও পর্যন্ত রাজ্য সরকারের তরফ থেকে তাঁকে মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে দেওয়ার বিষয়ে কিছু বলা হয়নি । বরং গত শনিবার বা গতকাল শাসক দলের শীর্ষ নেতৃত্বের তরফ থেকে সাংবাদিক সম্মেলন করে বারবার বলা হয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) দোষী সাব্যস্ত হলে তাঁর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেবে দল । অর্থাৎ এই বক্তব্য থেকে একটা জিনিস স্পষ্ট, এখনই তাঁকে দলের মহাসচিব বা অন্য কোনও পদ থেকে সরানো হবে না (Partha Chatterjee removal)। এখান থেকেই রাজনৈতিক মহলের একাংশ প্রশ্ন তুলেছে, দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে এমন কেউ কেন গ্রেফতার হওয়ার পরেও মন্ত্রী বা দলের পদে থাকবেন ?
এ বিষয়ে আমরা যোগাযোগ করেছিলাম বিশিষ্ট রাজনৈতিক বিশ্লেষক অমল মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে । প্রবীণ এই শিক্ষাবিদ শারীরিক ভাবে অসুস্থ । সে কারণেই তিনি এ বিষয়ে বেশি কথা বলতে পারেননি । তবে ফিজিয়োথেরাপির মাঝেই তিনি জানিয়েছেন, এ ক্ষেত্রে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা সে ভাবে কিছু নেই । প্রশ্নটা নৈতিকতার । যিনি সরকারের প্রধান, তিনি এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার মালিক । অতএব এ বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী যদি চান, তাহলে পার্থ চট্টোপাধ্যায় মন্ত্রীর দায়িত্ব সামলাতে পারেন । তবে তা কতটা কার্যকরী বা নৈতিক সে বিষয়ে প্রশ্ন থাকছে ।
তাঁর এই বক্তব্যকে সমর্থন জানিয়েছেন আরও এক প্রবীণ শিক্ষাবিদ তথা রাজনৈতিক বিশ্লেষক পবিত্র সরকার । তাঁকে এই নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, "পরিষদীয় চৌহদ্দিতে কী নিয়ম আছে তা আমার ঠিক জানা নেই । তবে এখানে প্রশ্ন অবশ্যই নৈতিকতার । এখানে পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং তাঁর দল কী সিদ্ধান্ত নেবে সবচেয়ে ভালো তারাই বলতে পারবেন ।" একইসঙ্গে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল অতীতে কোনও প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর ক্ষেত্রে কি এমন নজির রয়েছে ? জবাবে পবিত্রবাবু বলেন, এ ক্ষেত্রে পার্থ চট্টোপাধ্যায় সম্পর্কে কথা না বলাই ভালো । অতীতে না দেখে এখন সরকার বা পার্থবাবু নিজে কি করতে চান সেটাই সবার আগে দেখা উচিত ।