কলকাতা, 13 জুন : আবার রানিকুঠির বেসরকারি স্কুলের সামনে বিক্ষোভ দেখালেন অভিভাবকরা । স্কুলের কাছে রাস্তার উপর চেয়ারে বসে অবরোধ করেন । অবশেষে স্থানীয় কাউন্সিলের চেষ্টায় আগামী মঙ্গলবার কর্তৃপক্ষ বিক্ষোভকারী অভিভাবকদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি হয়েছেন ।
জুন মাসের শুরু থেকেই ফি মকুবের দাবিতে পথে নেমেছেন রানিকুঠির এক নামী স্কুলের অভিভাবকরা । কোরোনা আবহে শুধুমাত্র টিউশন ফি দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন । এই দাবিতে এর আগে দুইবার স্কুলের সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন তাঁরা । স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করতে চেয়েছিলেন । কিন্তু, অভিভাবকদের সঙ্গে কোনও আলোচনায় বসতে রাজি হয়নি স্কুল কর্তৃপক্ষ । গত শনিবারের পর আজ আবার তাঁরা বিক্ষোভ দেখালেন ।
রানিকুঠির বেসরকারি স্কুলের কাছে অবরোধ অভিভাবকদের, শিক্ষামন্ত্রীকে স্মারকলিপি
ফি মকুবের দাবিতে রানিকুঠির একটি বেসরকারি স্কুলের কাছে রাস্তায় উপর চেয়ারে বসে বিক্ষোভ দেখালেন অভিভাবকরা । আগামী মঙ্গলবার তাঁদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি স্কুল কর্তৃপক্ষ ।
রানিকুঠির ওই স্কুলের অভিভাবক ফোরামের বক্তব্য, বাস ফি, ল্যাবরেটরি ফি, এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাক্টিভিটি ফি, AC চার্জ এখন অপ্রয়োজনীয় । এই ফি এখন দিতে চান না তাঁরা । লকডাউনে অনেক অভিভাবক কর্মহীন হয়ে পড়েছেন । তাই তাঁরা চান স্কুল কর্তৃপক্ষ শুধুমাত্র টিউশন ফি নিক । এই নিয়ে বহুবার আলোচনার জন্য কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছেন অভিভাবকরা । ই-মেলের মাধ্যমে আলোচনার আবেদন জানিয়ে তিনবার চিঠি পাঠানো হয়েছিল । কিন্তু চিঠির উত্তর দেয়নি স্কুল কর্তৃপক্ষ ।
কার্যত বাধ্য হয়ে পথে নামেন অভিভাবকরা । দুইবার স্কুলের সামনে এসে বিক্ষোভ দেখানোর পরেও সাড়া মেলেনি স্কুল কর্তৃপক্ষের । তাই আজ আবারও সকাল দশটা থেকে স্কুলের সামনে এসে জমায়েত করেন শতাধিক অভিভাবক । অভিভাবকরা স্কুলের বাইরের দরজায় ধাক্কাধাক্কি করেন, ডাকাডাকি করেন । কোনও লাভ হয়নি । তখন স্কুলের সামনে লায়েলকা রোড সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চেয়ারে বসে রাস্তা অবরোধ করেন । প্রায় আধঘন্টা ধরে এই অভিনব পদ্ধতিতে রাস্তা অবরোধ চলার পরে স্থানীয়দের অভিযোগ পেয়ে আসেন স্থানীয় কাউন্সিলর তপন দাশগুপ্ত। তিনি অভিভাবকদের রাস্তা ছেড়ে উঠে যেতে অনুরোধ করেন । কিন্তু, অভিভাবকরা প্রথমে তা মানতে চাননি ।
কাউন্সিলর নিজে স্কুলে গিয়ে কথা বলার চেষ্টা করেন । স্কুল কর্তৃপক্ষের কেউ উপস্থিত না থাকায় তাঁদের সঙ্গে সামনাসামনি কথা বলতে পারেননি তিনি । ঢুকতে পারেননি স্কুলের ভিতরে । তখন স্কুলের সামনে দাঁড়িয়ে ফোনে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন কাউন্সিলর । কাউন্সিলরের সঙ্গে আলোচনায় আগামী মঙ্গলবার স্কুল কর্তৃপক্ষ অভিভাবকদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি হয় । সেই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন কাউন্সিলর নিজেও ।
আগামী মঙ্গলবারের বৈঠকে একটি সমাধান সূত্র বেরিয়ে আসতে পারে বলে আশা করছেন অভিভাবকরা । আজ বিক্ষোভের পাশাপাশি শিক্ষামন্ত্রীর বাড়িতে গিয়ে নিজেদের দাবি জানিয়ে স্মারকলিপি জমা দিয়ে আসেন অভিভাবকরা । তাঁরা চান, রাজ্য সরকার এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করুক এবং তাঁদের সমস্যা সমাধানে নির্দেশিকা জারি করুক ।