কলকাতা, 10 অগস্ট : বিধায়কদের সম্পত্তি বৃদ্ধির মামলায় একতরফা ভাবে তৃণমূলকে জড়িয়ে প্রচারকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হিসেবেই দেখছে ঘাসফুল শিবির (One party is being targeted in disproportionate assets case claim TMC leaders Firhad-Bartya) । বুধবার এর প্রতিবাদে বিধানসভায় সাংবাদিক সম্মেলন করেন তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) নেতারা । সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের পৌরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim), শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক, সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায়, বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এবং ছিলেন প্রতিমন্ত্রী শিউলি সাহা ।
এই সাংবাদিক সম্মেলন থেকে ফিরহাদ হাকিম দাবি করেন, 2017 সালের যে জনস্বার্থ মামলার (Public Interest Litigation) উপর ভিত্তি করে তৃণমূলকে বদনাম করার চেষ্টা করা হচ্ছে, সেটি জনস্বার্থ মামলা নয় ৷ বরং সেটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা । এর মাধ্যমে তৃণমূল কংগ্রেসকে বদনাম করার চেষ্টা হচ্ছে ।’’
এদিন রাজ্যে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু অভিযোগ করেন, ‘‘মূল মামলায় তৃণমূলের পাশাপাশি অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতাদের নাম রয়েছে ৷ অথচ সংবাদমাধ্যমের একাংশ উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে শুধুমাত্র তৃণমূলকে নিয়ে প্রচারে নেমেছে ।’’ সাংবাদিক সম্মেলনে আদালতের মূল রায়ের কপির অংশ পড়ে শোনান ব্রাত্য । তিনি উল্লেখ করেন, এই মামলায় নাম রয়েছে সূর্যকান্ত মিশ্র, অধীর চৌধুরী, অশোক ভট্টাচার্য, আবু হেনা, কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়, নেপাল মাহাতোর মতো অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতাদেরও । তাহলে কেন শুধুমাত্র তৃণমূলকে বদনাম করা হচ্ছে ! তাঁদের দাবি, যদি বলা হয় কার কার আয় বেড়েছে, এই অবস্থায় সব রাজনৈতিক দলের কথাই বলা উচিত । বেছে বেছে তৃণমূল কংগ্রেসকে কালিমালিপ্ত করার প্রয়াস বন্ধ হওয়া উচিত ।