কলকাতা, ১৯ মার্চ : ট্রানজ়িট পয়েন্ট ছিল কলকাতা। জালনোট পাচারের "রেড করিডর" মালদা থেকে তা আনা হয় এখানে। শহরে হাজির হয় ভিন রাজ্যের জাল নোট চক্রীরা। তারপর তা ছড়িয়ে পড়ে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে। জালনোট চক্রের কার্যপ্রণালী এটাই। এমনই এক চক্রের দুই চক্রীকে ৯ মার্চ গ্রেপ্তার করে STF(স্পেশাল টাস্ক ফোর্স)। ওই দিন ধৃত দীপক মণ্ডল ওরফে ভোলাকে জেরা করে চক্রের আরও একজনের নাম পায় STF। তারপরই নজর রাখা হচ্ছিল তার উপর। অবশেষে গতকাল গ্রেপ্তার করা হল তাকে। তার কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে দু'লাখ টাকার জাল নোট। আজ ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হচ্ছে তাকে।
STF সূত্রে খবর, গতকাল সন্ধ্যায় মালদার এক যুবক কলকাতায় আসে জালনোট নিয়ে। তার নাম তোফাজুল হক। বাড়ি মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরে। খবর ছিল পুলিশের কাছে। জানা যায়, জালনোট নিয়ে শহরের ঢুকেছে তোফাজুল। গতকাল মৌলালির CIT রোড এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় তাকে। উদ্ধার হয় দু'লাখ টাকার জালনোট।
পুলিশ সূত্রে খবর, মালদার বৈষ্ণবনগরের দীপক মণ্ডল ওরফে ভোলা এবং জয় মণ্ডল এই চক্রের অন্যতম পান্ডা। তাদের লক্ষ্য ছিল কলকাতা শহরে জালনোট ছড়িয়ে দেওয়া। গত ৯ মার্চ বউবাজার থানা এলাকার চাঁদনিচকে জালনোটের হাত বদলের ছক ছিল তাদের। খবর ছিল কলকাতা পুলিশের কাছে। সেইমতো সাদা পোশাকে অপেক্ষা করছিলেন STF এর গোয়েন্দারা। হাতেনাতে জাল নোট পাচার চক্রের ওই দুই চক্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়। উদ্ধার হয় আট লাখ টাকার জালনোট।
প্রসঙ্গত, ২৭ নভেম্বর STF গ্রেপ্তার করে জাল নোট চক্রের অন্যতম দুই পান্ডাকে। তাদের কাছে উদ্ধার করা হয় দু'হাজার টাকা নোটের পাঁচ লাখের জালনোট। নারকেলডাঙা মেইন রোডের মোমিন হাই স্কুল সংলগ্ন এলাকা থেকে STF গ্রেপ্তার করে ওই জালনোট চক্রের পান্ডাদের। ধৃতরা মালদার বৈষ্ণবনগর থানা এলাকার বাসিন্দা ছিল। তাদের মধ্যে ২৪ বছরের গোলাম রব্বানির বাড়ি পারদেওনাপুরে। ২২ বছরের আমিন শেখও একই এলাকার বাসিন্দা ছিল। সেই চক্রের অন্যতম পাণ্ডা ছিল সাদ্দাম। সূত্রের খবর, গোলাম রব্বানি, রাজ্জাকদের জেরা করে জয়, দীপকদের নাম পায় গোয়েন্দারা। তারপর থেকেই তার সম্পর্কে খোঁজখবর রাখা হচ্ছিল। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে গোটা চক্রের খোঁজ পাওয়ার চেষ্টা করছে পুলিশ।