ভার্চুয়ালেই হবে শিক্ষক দিবসের সরকারি অনুষ্ঠান, জেলাশাসকের অফিস থেকে মিলবে 'শিক্ষারত্ন' পুরস্কার - বিকাশ ভবন
আজ শিক্ষক দিবস ৷ রাজ্য সরকার ভার্চুয়াল মাধ্যমে শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠান করতে চলেছে। রাজ্য সরকারের তরফে আজ রাজ্যের বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের 61 জন শিক্ষক-শিক্ষিকাকে 'শিক্ষারত্ন' পুরস্কার দেওয়া হবে ৷ সমগ্র অনুষ্ঠান হবে ভার্চুয়াল মাধ্যমে ৷
![ভার্চুয়ালেই হবে শিক্ষক দিবসের সরকারি অনুষ্ঠান, জেলাশাসকের অফিস থেকে মিলবে 'শিক্ষারত্ন' পুরস্কার teacher day](https://etvbharatimages.akamaized.net/etvbharat/prod-images/768-512-8684207-109-8684207-1599261830267.jpg)
কলকাতা, 5 সেপ্টেম্বর: কোরোনাভাইরাসের আবহে রাজ্যে বিশেষ দিনগুলি প্রথাগতভাবে পালন সম্ভব হয়নি। ভার্চুয়াল মাধ্যমেই বিশেষ দিনগুলি পালন করতে হয়েছে রাজ্যবাসীকে। COVID-19 নিয়ে তৈরি পরিস্থিতিতে আজ শিক্ষক দিবসও পালিত হতে চলেছে ভার্চুয়াল মাধ্যমে। এ বছর ভার্চুয়াল মাধ্যমে শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠান করতে চলেছে রাজ্য সরকার। আজ রাজ্যের বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের 61 জন শিক্ষক-শিক্ষিকাকে 'শিক্ষারত্ন' পুরস্কার দেওয়া হবে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে।
এই বছর কেন্দ্রীয়ভাবে অনুষ্ঠান করে সকল 'শিক্ষারত্ন' প্রাপকদের মঞ্চে ডেকে পুরস্কৃত করা সম্ভব হবে না। 'শিক্ষারত্ন' প্রাপকরা মানপত্র, নগদ পুরস্কারের চেক এবং অন্যান্য স্মারক সামগ্রী সংশ্লিষ্ট জেলাশাসকের অফিস থেকে গ্রহণ করবেন। বিকাশ ভবনে আয়োজিত অনলাইন অনুষ্ঠানে তা দেখা যাবে। আজকের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বিকাশ ভবনের 11তলায় সেই অনুষ্ঠানটি ভার্চুয়ালি হবে।
এই বছর 61 জন 'শিক্ষারত্ন' প্রাপকদের মধ্যে কলকাতার তিনজন শিক্ষক-শিক্ষিকা রয়েছেন। বাকিদের মধ্যে বেশিরভাগই কলকাতা লাগোয়া জেলা যেমন, হাওড়া, উত্তর 24 পরগণা, দক্ষিণ 24 পরগণার। রাজ্যের 'শিক্ষারত্ন' পুরস্কারের জন্য একজন রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষিকাও আবেদন করেছিলেন এই বছর। তাঁকেও 'শিক্ষারত্ন' পুরস্কার দেওয়ার জন্য নির্বাচন করা হয়েছে। এই বছর 'শিক্ষারত্ন' পাচ্ছেন তৃণমূল মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি দিব্যেন্দু মুখোপাধ্যায়ও। তিনি হাওড়া পৌরসভার প্রাক্তন মেয়র পরিষদ সদস্য (শিক্ষা)। তবে, একজন রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষিকাকে 'শিক্ষারত্ন' পুরস্কারের জন্য নির্বাচন করা নিয়ে শিক্ষক মহলের একাংশের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। তাঁদের বক্তব্য, রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষিকার বদলে অন্য কোনও শিক্ষককে এই সন্মান দেওয়া যেতে পারত। আবার অন্য এক অংশের মতে, একজন রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষিকার যোগ্যতা নিয়ে কোনও প্রশ্ন তোলা উচিত নয়।