কলকাতা, 26 সেপ্টেম্বর : লকডাউনের জেরে বিরাট আর্থিক ধাক্কার মুখে পড়েছে রাজ্যের বই বাজার । লকডাউনের পরে ধীরে ধীরে অনলাইনে শুরু হয় বই বিক্রি । এরই মাঝে বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় আমফান। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় বই বিক্রেতাদের । বৃষ্টির জলে নষ্ট হয়ে যায় হাজার হাজার বই । চৌপাট হয়েছে ছোটো-বড় ব্যবসা । এখনও ফেরেনি বই পাড়ার হাল । আর্থিক মন্দার মুখে পড়েছে বই প্রকাশক ও বই বিক্রেতারা । পুজোসংখ্যার বাজারেও বড়সড় আর্থিক ধাক্কা এসেছে । বাজারে এখনও আসেনি বেশিরভাগ শারদীয়া পুজোসংখ্যা ।
দা পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক ত্রিদিব কুমার চট্টোপাধ্যায় বলেন, "বাঙালিরা পুজোসংখ্যার জন্য প্রতিবছর অপেক্ষা করে থাকে । একটা বিরাট আর্থিক টানাপোড়েনের মধ্যে পড়েছে বাংলার বই জগৎ। শুধু এ রাজ্যেই নয়, বাংলা বইয়ের একটা বিশাল বাজার ছড়িয়ে রয়েছে দিল্লি, মুম্বই, বেঙ্গালুরু, ত্রিপুরা, অসম, শিলচরসহ আরও অন্যান্য জায়গায় । সাধারণত অন্যান্য বছরে মার্চ মাস থেকেই শুরু হয়ে যায় পুজোসংখ্যার কাজ । মার্চ ও এপ্রিল মাসের মধ্যেই লেখকরা তাঁদের লেখা পাঠিয়ে দেন । জুন মাস থেকে লেখা ছাপা শুরু হয়ে যায় । অগাস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে বাজারে পুজোসংখ্যা চলে আসে । কিন্তু এবছর কোরোনা আতঙ্ক সবকিছু গ্রাস করেছে । এবার লেখকদের মনের অবস্থা এতটাই খারাপ ছিল যে তাঁরা পুজোসংখ্যার কোনও লেখা ঠিক সময় পাঠাতে পারেননি ।"
পাশাপাশি এবার বিজ্ঞাপনের হালও বেশ খারাপ । পরিস্থিতি এখনও স্বাভাবিক না হলেও পুজোসংখ্যার কাজ তো শুরু করতেই হবে । অনেক দেরি করে শুরু হয় । স্বাভাবিকভাবেই বাজারে অধিকাংশ পুজোসংখ্যা এখনও আসেনি । ত্রিদিববাবু বলেন, "ধীরে ধীরে পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে । আমরা এরই মধ্যে বহু অর্ডার পেয়েছি । এমনকী রাজ্যের বাইরে থেকেও অর্ডার এসেছে ।"