কলকাতা, 12 অক্টোবর: গ্রেফতারির পরেও মুখ খুলছেন না মানিক ভট্টাচার্য ৷ ইডি সূত্রে খবর, গ্রেফতারি আগে যেমন ব্যবহার ছিল মানিকের ৷ গ্রেফতারির পরেও সেই একই রকম ব্যবহার করছেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের বহিষ্কৃত সভাপতি ৷ জিজ্ঞাসাবাদের সময় কোনও প্রশ্নের জবাব মানিক দিচ্ছেন না বলে অভিযোগ (Manik Bhattacharya in ED Interrogation) ৷ প্রতি প্রশ্নেই একটিই উত্তর তাঁর, ‘কিছু জানা নেই’ ৷ আজ সকাল 10টা থেকে মানিক ভট্টাচার্যকে জেরা করা শুরু করেছেন ইডি’র গোয়েন্দারা ৷
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের বহিষ্কৃত সভাপতি তথা বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যকে সোমবার গভীর রাতে গ্রেফতার করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট ৷ গতকাল তাঁকে আদালতে পেশ করা হলে, 14 দিনের ইডি হেফাজত দিয়েছেন বিচারক ৷ তার পরেই আজ সকাল 10টা থেকে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে ৷ কিন্তু, ইডি সূত্রে খবর, মানিক ভট্টাচার্য কোনও প্রশ্নেরই জবাব দিচ্ছেন না ৷ সবক্ষেত্রেই তিনি তদন্তাকারীদের জানাচ্ছেন, সেই বিষয়ে তাঁর ‘কিছু জানা নেই’ (Non-Cooperation from Manik Bhattacharya) ৷
ইডি সূত্রে খবর, মানিকের একটি মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ৷ অভিযোগ মানিক ভট্টাচার্য ওই মোবাইল ফোন থেকেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করতেন ৷ এমনকী তাঁদের মধ্যে হওয়া হোয়াটঅ্যাপে যে সমস্ত চ্যাটের আদানপ্রদান হয়েছে সেগুলিও ইতিমধ্যেই তদন্তকারী আধিকারিকদের হাতে এসেছে ৷ সেই সংক্রান্ত একাধিক প্রশ্ন এ দিন মানিক ভট্টাচার্যকে করা হয়েছে ৷
আরও পড়ুন:মানিক ভট্টাচার্যকে 14 দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ ব্যাঙ্কশাল আদালতের
ইডি সূত্রে খবর, মানিকের কাছে এদিন জানতে চাওয়া হয়, কেন তিনি এত ঘন ঘন তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করতেন ? তাঁদের মধ্যে কি নিয়ে এত আলোচনা হত ? ফোনবুকে ‘আরকে’ নামে যে ব্যক্তির অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া গিয়েছে তার আসল পরিচয় কী ? কোন কোন প্রভাবশালীর সঙ্গে মানিক ভট্টাচার্যের নিয়মিত যোগাযোগ ছিল ? পাশাপাশি এই প্রশ্নও করা হয় যে, কার বা কাদের নির্দেশে তিনি পরীক্ষার্থীদের ওএমআর শিট নষ্ট করেছিলেন মানিক ? এমন একাধিক প্রশ্ন করা হয় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে ৷ কিন্তু ইডি সূত্রে খবর, তদন্তে কোনওরকম সহযোগিতা করছেন না মানিক ।