কলকাতা, 12 সেপ্টেম্বর: আগামীকাল, মঙ্গলবার বঙ্গ বিজেপির নবান্ন অভিযান নিয়ে বিজেপি শিবিরে প্রস্তুতি তুঙ্গে (Sukanta on Nabanna Abhijan)৷ এ দিকে, বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা যাতে নবান্ন পর্যন্ত পৌঁছতে না পারেন, সে জন্য কোমর বেঁধেছে রাজ্যের পুলিশ প্রশাসন (BJP Nabanna Abhijan)। তবে যে কোনওভাবে এই অভিযান কর্মসূচি নবান্নর দিকে এগোবে, এই হুঁশিয়ারি দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)।
আজ সকাল থেকেই বিভিন্ন স্টেশনে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের ট্রেনে ও বাসে উঠতে বাধা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ । এ দিকে, ইতিমধ্যেই কলেজ স্কোয়্যার অঞ্চলে 144 ধারা জারি করা হয়েছে । সারা শহর তথা হাওড়া এবং সাঁতরাগাছিতে পুলিশ প্রশাসনের কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই বিষয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, "মুখ্যমন্ত্রীর দুটোই শক্তি । এক হল চোর ডাকাত । আরেক পুলিশ । তাই তিনি নিজে আগেই ভয় পেয়ে জেলায় গিয়ে বসে আছেন । আর শহর ও জেলার বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা যাতে আসতে না পারে, সে জন্য সমস্ত পুলিশকে নামিয়ে দিয়েছেন । আশা করব, গণতান্ত্রিকভাবে যে কর্মসূচি আগামিকাল করছি, পুলিশ তা ভন্ডুল করার চেষ্টা না করে পুলিশও আমাদের সাহায্য করবে । কারণ তাদেরও ডিএ-টা বাকি । আর তাদের ডিএ পাইয়ে দেওয়ার জন্য আমাদের এই লড়াই । তাদেরকে পেট্রল ও ডিজেলের দাম বাড়ার জন্য বেশি টাকা দিতে হচ্ছে । তাদেরকেও ইলেকট্রিক বিলটা বেশি দিতে হচ্ছে । তাদেরও পরিবারে এমন অনেকেই আছেন যাঁরা শিক্ষিত হয়েও বছরের পর বছর চাকরি না পেয়ে বাড়িতে বসে আছেন । তাই পুলিশের কাছে আমাদের আবেদন যে, আপনাদের যে সংবিধানিক দায়িত্ব সেটাই পালন করুন । নয়তো আইনশৃঙ্খলা কোনওভাবে বিঘ্নিত হলে সেই দায় পুলিশ প্রশাসনের উপরই পড়বে ।"
ইতিমধ্যেই হাওড়া পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে যে, মঙ্গলবারের মিছিল করতে অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না বিজেপিকে । এই বিষয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, "এটা তো সাধারণ মানুষের মিছিল । এটা চোর ধরার মিছিল আর সেই মিছিল করার অনুমতি নিতে হবে চোরের কাছে । চোরের থেকে অনুমতি নেব ? চোরদের কাছ থেকে আবার পারমিশন নেওয়ার কী দরকার ? জনগণই তো মালিক । তারা পারমিশন দেবে । চোরদের সরকারের কাছ থেকে আমাদের কোনও রকম অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন নেই । জনগণের সরকার । জনগণ বুঝে নেবে ।"