কলকাতা, 26 এপ্রিল: মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক (MHRD) ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (UGC) তরফ থেকে কোনও চিঠি আসেনি রাজ্য সরকারের কাছে। আজ ফেসবুকে বিবৃতি দিয়ে জানালেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন শিক্ষাবর্ষ জুলাই মাসের পরিবর্তে সেপ্টেম্বরে চালু হোক, এমনই সুপারিশ করেছে UGC দ্বারা গঠিত সাত সদস্যের কমিটি। আর সেই সংবাদেই বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে রাজ্যের শিক্ষা মহলে। অনেকেই মনে করছেন, সেপ্টেম্বরেই হয়তো নতুন শিক্ষাবর্ষ চালু করার গাইডলাইন দিয়েছে UGC। সেই বিভ্রান্তি দূর করতেই আজ রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এই বিবৃতি জারি করলেন
পার্থ চট্টোপাধ্যায় আজ ফেসবুক বিবৃতিতে লেখেন, "আমাদের কাছে MHRD থেকে কোনও চিঠি আসেনি। UGC-র তরফ থেকেও কোনও চিঠি আসেনি। রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলি কতগুলি পরামর্শ সরকারকে দিয়েছে। আমি স্পষ্ট করে দিতে চাই, এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলি ছাত্র সমাজের স্বার্থে যে সিদ্ধান্ত নেবে, যা শিক্ষা দপ্তরের সঙ্গে আলোচনায় উঠে এসেছে, তা কার্যকর করার ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোনও কোনও সংবাদ মাধ্যমে এই বিষয়ে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তা থেকে কেউ যেন বিভ্রান্তি না হন। শিক্ষা দপ্তর বিশ্ববিদ্যালয়গুলির সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করে চলেছে।"
কোরোনা মোকাবিলায় দেশজুড়ে চলছে লকডাউন। বন্ধ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এই পরিস্থিতিতে দেশের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলির অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার ও পরীক্ষা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে সুপারিশ করার জন্য সাত সদস্যের কমিটি গঠন করেছিল বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন। এ ছাড়া, অনলাইন শিক্ষা দেখার জন্য আরও একটি কমিটি গঠন করেছিল UGC। অন্যদিকে, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন গঠিত কমিটি তাদের রিপোর্ট পেশের আগেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন, শুধুমাত্র চূড়ান্ত সিমেস্টারের পরীক্ষা হবে। বাকি সিমেস্টারগুলি একটি করে এগিয়ে যাবে। যেখানে UGC সিমেস্টার পরীক্ষা ও অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডারের বিষয়গুলি দেখার জন্য কমিটি গঠন করেছে, সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণায় বিতর্ক সৃষ্টি হয় উচ্চশিক্ষা মহলে। কারও মতে, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধিকারে হস্তক্ষেপ করছেন মুখ্যমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী। আবার কারও মতে, যেখানে UGC সাত সদস্যের বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করেছে এই বিষয়গুলির উপর সুপারিশ করার জন্যে, সেখানে তাঁদের রিপোর্টের ভিত্তিতেই তৈরি গাইডলাইন অনুসারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হোক। গোটা বিষয়টি ঘিরে শিক্ষা ক্ষেত্রেও রাজ্য-কেন্দ্র সংঘাতের পরিবেশ তৈরি হয়।