কলকাতা, 30 সেপ্টেম্বর : ঢাকে কাঠি পড়বে বটে, কিন্তু বড় দুর্গার চাহিদা এ বছর অনেকটাই কম । চাহিদা বেড়েছে ছোটো প্রতিমার । উমার বাপের বাড়ি আসতে আর বেশি দিন বাকি নেই । 22 অক্টোবর মহাষষ্ঠী । পুজোকে ঘিরে বাঙালির উন্মাদনা রয়েছে ঠিকই, তবে এ-বছর আগমনীর রং অনেকটাই ফিকে । কোরোনা পরিস্থিতিতে দুর্গাপুজোর ভবিষ্যৎ মাঝে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল । দুর্গাপুজোর আয়োজকদের প্রস্তুতিতেও ভাটা পড়েছে অন্যান্য বছরের তুলনায় । বহু পুজো কমিটিই সিদ্ধান্ত নিয়েছে শুধু নিয়ম রক্ষার জন্য এ-বছর পুজো করবে। খুব বেশি জাঁকজমক-আড়ম্বরে যেতে চাইছে না কলকাতার বহু দুর্গাপুজো কমিটি । কোরোনা সংক্রমণের জন্য বিশ্বজুড়ে তৈরি হয়েছে আর্থিক মন্দা । আর সেই আর্থিক মন্দার প্রভাব এসে পড়েছে দুর্গাপুজোতেও ।
কোরোনা পরিস্থিতির জন্য বাজেট কমাতে বাধ্য হয়েছেন অনেক দুর্গাপুজো কমিটি । এ-বছর কুমারটুলিতে বড় দুর্গার চাহিদা অনেক কম । তবে অর্ডার বেড়েছে ছোটো দুর্গা প্রতিমার । প্রতি বছর কুমোরটুলিতে দু'শো থেকে আড়াইশোটি বড় দুর্গা প্রতিমা তৈরি হয় । এ বছর সেখানে বড় দুর্গা তৈরি হয়েছে মাত্র 14 থেকে 16টি । ছোটো থেকে মাঝারি দুর্গা প্রতিমার চাহিদা বেড়েছে অনেকটা । বেশিরভাগ মূর্তি তৈরি হচ্ছে দেড় ফুট থেকে পাঁচ ফুটের মধ্যে । তবে কুমোরটুলির শিল্পীরা এবছর অতিরিক্ত প্রতিমা তৈরি করছেন না । আগাম অর্ডার পেলে তবেই তাঁরা প্রতিমা তৈরি করছেন । ঘূর্ণিঝড় আমফান ও কোরোনার সংক্রমণে ব্যবসার অনেক ক্ষতি হয়েছে । বহু অর্ডার বাতিল হয়ে গেছে । ঘূর্ণিঝড় আমফানের দাপটে ভেঙে গেছে বেশ কিছু অর্ধ নির্মিত প্রতিমা । চরম আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে মৃৎশিল্পীদের । তাই এবছর শিল্পীরা বড় প্রতিমা তৈরি করছেন না । অর্ডার বাতিল হলে যাতে লোকসান কম হয়, তার জন্য ছোটো প্রতিমা গড়ছেন শিল্পীরা।
আরও পড়ুন : কোরোনার জেরে এ বছর লন্ডনে পাড়ি দেওয়া হল না উমার