পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

By

Published : May 8, 2020, 6:39 PM IST

ETV Bharat / city

বড়বাজারে সংক্রমণ ঠেকাতে অন্যত্র পণ্য খালাসের ভাবনা নবান্নের

আজ বড়বাজার, পোস্তা, জোড়াবাগান এলাকায় বাড়তে থাকা সংক্রমণ নিয়ে বৈঠক হয় নবান্নে। বাজার এলাকায় বাইরের লোকের আনাগোনাই সংক্রমণের কারণ বলে মনে করছে প্রশাসন। সে কারণেই এবার অন্যত্র পণ্য খালাসের কথা ভাবছে তারা ।

discussed-at-Nabanna on Barabazar
নবান্ন

কলকাতা, 8 মে: আজ নতুন করে কলকাতায় কোরোনায় আক্রান্ত হয়েছেন 30 জন। যাঁদের অনেকেই বড়বাজার, পোস্তা ও জোড়াবাগান এলাকার বাসিন্দা । এই তিন এলাকার অনেকটা অংশই ইতিমধ্যে কনটেনমেন্ট জ়োন হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে । সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার জন্য বড়বাজারের ঘিঞ্জি বাজার এলাকাই দায়ি বলে মনে করছে রাজ্য সরকার। সেই সূত্রেই ওই বাজারে জিনিসপত্রের জোগান দিতে আসা ট্রাকগুলির পণ্য খালাসের ব্যবস্থা অন্যত্র করা যায় কি না তার ভাবনা শুরু হয়েছে বলে জানালেন পৌর ও নগরউন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।

আজ নবান্নে কলকাতা ও হাওড়ার পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করেন ফিরহাদ হাকিম। এই বৈঠকে উঠে আসে গত কয়েক সপ্তাহে চিন্তার কারণ হয়ে ওঠা বেলগাছিয়া ও নারকেলডাঙা এলাকায় কোরোনা প্রতিরোধের ব্যবস্থাপনা ও তার সাফল্যের কথা। গত কয়েকদিনে যেখানে নতুন করে সংক্রমণের ঘটনা ঘটেনি। বৈঠকে আলোচনা হয়, যেভাবে বেলগাছিয়া বস্তি বন্ধ করে স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে কোরোনা উপসর্গের অনুসন্ধান চালিয়ে সংশ্লিষ্ট রোগীদের হাসপাতালে পাঠিয়েছেন, সেই প্রক্রিয়াটিই মডেল হয়ে উঠতে পারে শহরে কোরোনার প্রকোপ রুখতে। আলোচনার মাধ্যমে বৈঠকে ঠিক হয়, নতুন করে চিন্তার কারণ হয়ে ওঠা গার্ডেনরিচ, তপসিয়া, আলিমুদ্দিন স্ট্রিট এলাকায় সংক্রমণ ঠেকাতে বেলগাছিয়া-নারকেলডাঙা মডেলকেই কাজে লাগানো হবে। তবে, বড়বাজারে তা সম্ভব নয়। কারণ সেটি বাজার এলাকা হওয়ায় সেখানে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের জোগান দিতে বাইরে থেকে অসংখ্য মালবাহী গাড়ি আসা-যাওয়া করে থাকে। যা প্রশাসনের মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে। প্রতিনিয়ত বাইরের মানুষের আনাগোনায় সংক্রমণ প্রবণ হয়ে উঠেছে বড়বাজার এলাকা। সেই সূত্রেই শুক্রবার সিদ্ধান্ত হয়, বড় বাজারের বাইরে অন্য কোথাও ট্রাকগুলি থেকে পণ্য খালাসের ব্যবস্থা করা হবে।

এই বিষয়ে পৌর ও নগরউন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানান, বড়বাজারে যাতায়াত করা ট্রাকগুলির দাঁড়ানোর জায়গা অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। এভাবে বাড়তি সংক্রমণ ঠেকানো যায় কি না তা দেখতে চাইছে প্রশাসন।

ABOUT THE AUTHOR

...view details