কলকাতা, 26জুন: ব্যাপকভাবে ক্ষতি হয়েছে রাজ্যেরMSME (মাইক্রো,স্মল ও মিডিয়াম এন্টারপ্রাইজ)ক্ষেত্র ৷ কোরোনা আর লকডাউন তো আছেই,গোদের উপর বিষফোঁড়া হয়েছে সুপারসাইক্লোন আমফান । যেমন,দুইমেদিনীপুরের বিভিন্ন অঞ্চলে রয়েছে ধূপকাঠি তৈরির ক্ষুদ্র শিল্প । ক্ষতি হয়েছেসেগুলিও । এই অবস্থায় ক্ষুদ্র,ছোটো ও মাঝারি শিল্পের উদ্যোগপতিদের নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছেদিনে দিনে ।
এরাজ্যেসরকার স্বীকৃত অতি ক্ষুদ্র,ক্ষুদ্রও মাঝারি শিল্পোদ্যোগের সংখ্যা প্রায়55হাজার । ইতিমধ্যে রাজ্য সরকারেরসংশ্লিষ্ট দপ্তরের সচিবেরা ক্ষুদ্র শিল্পকে চাঙ্গা করতে জরুরি বৈঠক করেছেন । যদিওপরিস্থিতি অতি খারাপ ৷ ছোটো শিল্পের সঙ্গে জড়িত শ্রমিকরা পেশা বদল করতে শুরুকরেছেন । কেউ ভ্যানরিকশা চালাচ্ছেন,কেউ বা সবজি বিক্রি করছেন ৷ মূলতপ্রত্যন্ত গ্রামগুলিই ক্ষুদ্র,ছোটো ও মাঝারি শিল্পের আঁতুড়ঘর ৷ বেকারি ব্যবসা,ধূপকাঠি তৈরি,ঠাকুর বানানো,এমন হাজারো কাজ রাজ্য সরকারের এইমন্ত্রালয়ের অন্তর্গত ।
দপ্তরেরএক সচিব জানাচ্ছেন,লকডাউনেরবড় ক্ষতি হয়েছে। তাঁর যুক্তি,কেন্দ্রীয় সরকারের থেকে পর্যাপ্ত সাহায্য না মেলায়পরিস্থিতি কঠিন হয়ে উঠেছে । ক্ষুদ্র,ছোটো ও মাঝারি শিল্পের মালিকদেরউপযুক্ত প্যাকেজ দেয়নি কেন্দ্র । ফলে,উদ্যোগপতিদের বাঁচাতে রাজ্যকেইদায়িত্ব নিতে হয়েছে । তাঁর কথায়,ঋণ শোধ করতে সমস্যায় পড়ছেন ক্ষুদ্রশিল্পের উদ্যোগপতিরা ।
রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা শ্রমিকসংগঠনCITU-ররাজ্য সম্পাদক অনাদি সাহু বলেন, "কেন্দ্র ও রাজ্য দুই সরকারের নীতিহীনসিদ্ধান্তে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের উপর আঘাত এসেছে । এখন মানুষের হাতে অর্থ নেই। কলকারখানা চালাবার মতো টাকা নেই মালিকদের হাতেও । এই পরিস্থিতিতে রাজ্য ওকেন্দ্রের যে আর্থিক প্যাকেজ দেওয়া উচিত ছিল,তা তারা দেয়নি ৷ "