দিল্লি, 6 ফেব্রুয়ারি : নতুন ভারতের স্বপ্নকে আরও সজাগ করার চেষ্টা প্রধানমন্ত্রীর ৷ আর সেই স্বপ্নকে সার্থক করার অন্যতম হাতিয়ার মহাত্মা গান্ধি ৷ রাষ্ট্রপতির ভাষণের প্রেক্ষিতে আজ লোকসভায় জবাবি ভাষণে প্রধানমন্ত্রী আগাগোড়া তুলে ধরলেন তাঁর সরকারের সাফল্যের খতিয়ান ৷ 370 ধারা বাতিল থেকে শুরু করে তিন তালাক সবই উঠে এল প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে ৷
আজ প্রধানমন্ত্রী দাবি করলেন নতুন ভারত গড়ে উঠছে ৷ তাঁর কথায়, "370 ধারা বাতিল করেছি আমরা ৷ 37 কোটি নতুন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে ৷ তিন তালাক বাতিল করেছি আমরা ৷" এরপরে অযোধ্যা সমস্যা সমাধানে নিজ সরকারের ভূমিকার প্রশংসা করেন তিনি ৷
মোদির দাবি, তাঁর আমলে উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলির অভূতপূর্ব উন্নতি ঘটেছে ৷ করতারপুর করিডর দেশের মানচিত্রে এক নয়া নজির তৈরি করেছে বলেও বুঝিয়ে দেন তিনি ৷ পাশাপাশি দেশের সেনাবাহিনীর উন্নয়ন, চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ তৈরি, বিমান বাহিনীতে অত্যাধুনিক সরঞ্জামের সংযোজনের প্রসঙ্গটিও বক্তব্যে উঠে আসে ৷
বিরোধীদের কটাক্ষ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, "আপনারা যেভাবে কাজ করতেন, সেভাবে কাজ করলে 70 বছর পরও 370 ধারা, তিন তালাক, নাবালিক ধর্ষণে ফাঁসি, করতারপুর সাহাব করিডর তৈরি হত না ৷ রামমন্দির নিয়ে লড়াই চলত ৷ ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বিবাদ মিটত না ৷" তাঁর সরকার কাজে গতি এনেছে বলেও দাবি করেন মোদি ৷ বলেন, "70 বছর পর ভারত আর অপেক্ষা করতে চায় না ৷ তাই আমরা চাই, গতি বাড়ুক, কাজ হোক ৷ দ্রুত কাজ না করলে 37 কোটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, 13 কোটি পরিবারে গ্যাস, 2 কোটি নতুন ঘর, দিল্লিতে 1700-র বেশি অভয় কলোনি তৈরি হত না ৷"
দেশের কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়েছে কেন্দ্র ৷ এমনই দাবি করে মোদি বলেন, "দেশের কৃষকদের জন্য প্রধানমন্ত্রী কিষান যোজনা আনা হয়েছে ৷ 56 হাজার কোটি টাকার বিমা যোজনা করা হয়েছে ৷ আগে বাজেট ছিল 27 হাজার কোটি ৷ আমরা সেটা 1.5 লাখ কোটি করেছি ৷ 45 হাজার কোটি টাকা কিষান অ্যাকাউন্টে গেছে ৷" সকলের উদ্দেশে তাঁর বার্তা, "আমরা সমস্ত চেতনা, অর্থ সবই কাজে লাগাই ৷ এখনও সময় আছে, আর্থিক বিষয়ে কথা হোক ৷ যাতে বিশ্ব বাজারে ফায়দা তোলা যায় ৷"
প্রধানমন্ত্রীর দাবি, তাঁর সরকার শুধু বোড়োদের উন্নয়ন করিয়েছে তাই নয় ৷ সকলকে নিয়ে চলতে শিখিয়েছে ৷ এই সরকারের মেজাজ প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হচ্ছে ৷ কংগ্রেস-সহ বিরোধীদের আক্রমন করার পাশাপাশি নিজ সরকারের মানবিক মুখ তুলে ধরতে কোনও রকম কসুর করেননি প্রধানমন্ত্রী ৷ আজ মোদি যখন লোকসভায় বক্তব্য পেশ করছেন, রাহুল-অধীরদের আক্রমন করছেন, তখন বিষয়টিকে হেসে লঘু করার চেষ্টা করেন তাঁরা ৷ বিরোধীরা কেন নানা বিষয়ে তাড়াহুড়ো করছে সেই প্রশ্ন তোলেন প্রধানমন্ত্রী ৷ মোদির বক্তব্যের সময়ে তীব্র প্রতিবাদ করতে দেখা যায় লোকসভার কংগ্রেস দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরিকে ৷