পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / city

মিমিদের করোনার আসল টিকা দেওয়া হয়নি, নিশ্চিত করল কলকাতা পুরনিগম - latest news today

কসবায় যে ভুয়ো টিকাকরণের শিবিরের আয়োজন করা হয়, সেখানে জাল টিকা দেওয়া হয় ৷ বৃহস্পতিবার এটাই নিশ্চিত করল কলকাতা পুরনিগম ৷ ওই শিবির থেকেই টিকা নেন যাদবপুরের সাংসদ মিমি চক্রবর্তী ৷

mimi-chkaraborty-and-other-get-fake-covid-vaccine-kmc-confirms
মিমিদের করোনার আসল টিকা দেওয়া হয়নি, নিশ্চিত করল কলকাতা পুরনিগম

By

Published : Jun 24, 2021, 8:36 PM IST

কলকাতা, 24 জুন : গতকাল, বুধবার যখন বিষয়টি সামনে এসেছিল, তখন জানা গিয়েছিল কসবায় আয়োজন করা হয় করোনার (Covid-19) টিকা দেওয়ার ভুয়ো শিবির ৷ কিন্তু 24 ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই কলকাতা পুরনিগমের তরফে যা জানানো হল, তা রীতিমতো চাঞ্চল্যকর ৷ ওই শিবিরে যে টিকা দেওয়া হয়েছে, সেগুলি জাল ৷ বৃহস্পতিবার বিকেলে সাংবাদিক বৈঠক করে এমনটাই জানিয়েছে কলকাতা পুরনিগম (Kolkata Municipal Corporation) ৷

এদিন পুরনিগমের চিকিৎসক রণিতা সেনগুপ্ত জানান, যে ভায়ালগুলি ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে, সেগুলিতে কোনও ব্যাচ নম্বর ছিল না ৷ এমনকী, ছিল না মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়া সংক্রান্ত কোনও তারিখ ৷ তাছাড়া কোভ্যাক্সিন বা কোভিশিল্ডের একটি ভায়ালের আকারের থেকে ছোট শিশি থেকে তরল নিয়ে ইনজেকশন দেওয়া হয় ৷ ফলে ওই শিবিরে যে আসলে জাল টিকা দেওয়া হয়েছে, তা কার্যত এখনই মেনে নিচ্ছেন পুরনিগমের আধিকারিকরা ৷

আরও পড়ুন :ভুয়ো আইএএস কাণ্ডে তদন্তে নামল কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ

তাহলে ওই ভায়ালে কী ছিল ? রণিতা সেনগুপ্তর কথায়, ভায়ালে কোভিশিল্ড লেখা আছে ৷ আর লেখা আছে রিকম্বিনেনন্ড ৷ যার অর্থ পাউডার জাতীয় কিছুর সঙ্গে জল মিশিয়ে তৈরি হওয়া ভ্যাকসিন ৷ হাম বা বিসিজির ভ্যাকসিন এভাবে তৈরি হয় ৷ কিন্তু করোনার টিকা এভাবে তৈরি হয় না ৷

অতীন ঘোষের সাংবাদিক বৈঠক

তাহলে কি হাম বা বিসিজির টিকা পেলেন যাদবপুরের সাংসদ মিমি চক্রবর্তী-সহ আরও অনেকে ! নাকি অন্য কোনও পাউডার ও জল মিশিয়ে একটা মিশ্রণ তৈরি করে জাল টিকা তৈরি করা হয়েছিল ? এই প্রশ্নগুলির উত্তর এখনও অধরা ৷

আরও পড়ুন :ভুয়ো টিকাকরণ শিবির থেকে ধৃত ভুয়ো আইএএস আধিকারিক

তবে এই কাণ্ডে কলকাতা পুরনিগমের দিকে আঙুল তোলা উচিত নয় বলে মনে করেন পুর-প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য তথা কাশীপুর-বেলগাছিয়ার বিধায়ক অতীন ঘোষ ৷ তাঁর বক্তব্য, সেখানে যাঁরা ভ্যাকসিন নিয়েছেন, তাঁরা শিক্ষিত মানুষ ৷ ভ্যাকসিন নেওয়ার পর কয়েকদিন কেটে গেলেও তাঁরা কোনও মেসেজ পাননি ৷ অথচ তাঁরা কোথাও কোনও অভিযোগ করলেন না ৷ কেন এমন ঘটনা ঘটল, সেই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি ?

জাল টিকার ভায়াল

তবে গোটা ঘটনায় তাঁরই সতীর্থ মিমির প্রশংসা করেছেন তিনি ৷ জানিয়েছেন, মিমি ফোন না করলে তো সবটাই অধরা থেকে যেত ৷ তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে করোনার ভ্যাকসিন দেওয়া সংক্রান্ত নিয়মাবলীতে পুরনিগমের অনুমতি নেওয়া বাধ্যতামূলক নয় ৷ তাই বিষয়টি কলকাতা পুরসভার অগোচরে হয়েছে ৷

আরও পড়ুন :হাওড়া স্টেশনে 47 লাখ 50 হাজার নগদ টাকা সহ আটক যুবক

অতীন ঘোষ জানিয়েছেন, কলকাতা পুরনিগমের (KMC) সেন্ট্রাল স্টোর থেকে কোনও ভ্যাকসিন চুরি যায়নি । সমস্ত ভ্যাকসিনের যথাযথ হিসেব আছে কলকাতা পুরনিগমের কাছে । তবে দেবাঞ্জন দেব কোথা থেকে এই ভ্যাকসিন পেল, তা এখন তদন্ত সাপেক্ষ । কসবায় 171 জন এই করোনার ভুয়ো টিকা নিয়েছিলেন । যার মধ্যে 120 জনের নামের তালিকা পেয়েছে কলকাতা পুরনিগম । ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেছেন পুর-স্বাস্থ্যকর্মীরা । এখনও পর্যন্ত কেউ গুরুতর অসুস্থ হয়নি বলেও এদিন সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছেন তিনি ।

সেই সঙ্গে তিনি এদিন জানিয়েছেন, সরলা ডেভলপমেন্ট মাইক্রো ফাইন্যান্স প্রাইভেট লিমিটেড নামে একটি সংস্থা দেবাঞ্জন দেবকে করোনার টিকাকরণ করার জন্য এক লক্ষ 11 হাজার 150 টাকা দিয়েছিল । এই সংস্থা কেন টিকাকরণের জন্য তা নিয়ে তদন্ত হওয়া প্রয়োজন ।

ABOUT THE AUTHOR

...view details