পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / city

লকডাউনে আর্থিক অনটন ! বেহালায় তুবড়ির খোলে মৃত আদির বাবার আত্মহত্যা - লকডাউন

গতবছর কালীপুজোর রাতে গলায় তুবড়ির খোল বিঁধে মৃত্যু হয়েছিল পাঁচ বছরের আদি দাসের ।এরপর কেটে গেছে এক বছর । লকডাউনের জেরে চরম আর্থিক সমস্যায় পড়েছিলেন আদির বাবা কাজল দাস । আজ সকালে হরিদেবপুর বিদ্যাসাগর পল্লীতে উদ্ধার হয় তাঁর ঝুলন্ত দেহ। স্থানীয়রা মনে করছেন, আর্থিক অনটনেই আত্মঘাতী হয়েছেন তিনি ।

ছবি
ছবি

By

Published : Jun 29, 2020, 3:31 AM IST

কলকাতা, 28 জুন : আদি দাসকে মনে আছে ? কালীপুজোর রাতে গলায় তুবড়ির খোল বিঁধে মৃত্যু হয়েছিল পাঁচ বছরের আদির । রক্তাক্ত অবস্থায় শিশুকে কোলে তুলে নিয়ে হাসপাতালে দৌড়ে গেছিলেন বাবা কাজল দাস । সেই কাজল এবার আত্মহত্যা করলেন । স্থানীয়দের দাবি, লকডাউনের জেরে তিনি তীব্র আর্থিক অনটনে পড়ে ছিলেন । তার জেরেই আত্মহত্যা করলেন তিনি।


গতবছর কালীপুজোর রাত । ঠাকুমার হাত ধরে বাজি পোড়াতে গেছিল আদি । বড়রা তুবড়িতে আগুন দিচ্ছিল । হঠাৎই একটি তুবড়ি প্রচন্ড আওয়াজে ফেটে যায় । তুবড়ির খোল এসে বিঁধে যায় তার গলায়। সেখানেই লুটিয়ে পড়ে আদি। ঘটনাস্থানের কিছুটা দূরে ডায়মন্ডহারবার রোডে জামাকাপড়ের একটি ছোট্ট দোকান ছিল কাজলের । সেখান থেকে ছুটে আসেন তিনি । গাড়ি ছাড়াই ছেলেকে কোলে তুলে ছুটতে শুরু করেন । সেই দৃশ্য দেখে স্থানীয় এক যুবক নিজের মোটরসাইকেলের তুলে তাঁদের বিদ্যাসাগর হাসপাতালে নিয়ে যান । কিছুক্ষণ পরেই মৃত্যু হয় আদি দাসের । ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল পড়ে গেছিল কলকাতায়। বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সেই রাতেই ফোন করেন অনুজ শর্মাকে। পুলিশ ওই বাজি প্রস্তুতকারক বিজয় এবং তার বিক্রেতা বরুণকে গ্রেপ্তার করে।


সেই ঘটনার পর কাজলের পরিবারে নেমে আসে রীতিমতো দুর্যোগে । স্ত্রীর সঙ্গে বনিবনা শেষ হয়ে যায় কাজলের। স্ত্রী বাড়ি ছাড়েন। তারপর থেকে স্বাভাবিকভাবেই মানসিক অশান্তি লেগেই ছিল । কিন্তু প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, ভেঙে পড়েননি কাজল। জীবনযুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছিলেন। লকডাউনে বন্ধ হয়ে যায় তাঁর দোকান। তারপর থেকে শুরু হয় তীব্র অর্থনৈতিক সংকট । আজ সকালে হরিদেবপুর বিদ্যাসাগর পল্লীতে উদ্ধার হয় তাঁর ঝুলন্ত দেহ। পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে ।

ABOUT THE AUTHOR

...view details