কলকাতা, 2 অক্টোবর : দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন বা ডিভিসি অনিয়ন্ত্রিত ভাবে জল ছাড়ার জন্য প্রতিবার বাংলার মানুষের ভোগান্তি হচ্ছে এবং প্রতিবাবের এই ভোগান্তি আটকাতে এবার ডিভিসির কাছে ক্ষতিপূরণ চেয়ে আইনি পথে যাওয়ার চিন্তাভাবনা করছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার । রাজ্যে বন্যা-কবলিত জেলাগুলোর জেলাশাসকের সঙ্গে নবান্ন থেকে একটি অনলাইন বৈঠকের পর একথাই জানালেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ।
আরও পড়ুন :Narendra Modi : সমালোচকদের খুবই সম্মান করি : মোদি
তিনি বলেন, ‘‘আমরা ঠিক করেছি যে এবার ডিভিসির কাছে আমরা ক্ষতিপূরণ চাইব । আমরা কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে অনুরোধ করছি যাতে তারা এই ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করে । এই নিয়ে আবার আমি প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দেব । এর আগেও আমি প্রধানমন্ত্ৰীকে চিঠি দিয়েছি । বারবার ডিভিসি আমাদের ডোবাবে ৷ এটা চলতে দেওয়া যায় না ৷"
তিনি আরও বলেন, ‘‘এবার যেভাবে জল ছাড়া হয়েছে তা একটা বড় অপরাধ । এত জল আগে কোনওদিন ছাড়া হয়নি । আমাদের না জানিয়ে 10 লক্ষ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে । আমাদের সঙ্গে আলোচনা করে যদি দফায় দফায় অল্প অল্প করে জল ছাড়লে আমাদের রাজ্যের গ্রামগুলো এরকমভাবে ভাসত না ৷"
আরও পড়ুন :Jagdeep Dhankhar : গান্ধি জয়ন্তীতে রাজ্যকে খোঁচা, বাপুর আদর্শে শান্তি ও অহিংসার বার্তা রাজ্যপালের
মমতার দাবি, ‘‘ডেবরা, পটাশপুর, উদয়নারায়ণপুর, বাগনান এবং পিংলার বিস্তীর্ণ অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে । আমরা এখনও পর্যন্ত প্রায় 5 লক্ষ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছি । বলুন তো এই পুজোর মরসুমে মানুষ উৎসব করবে, না প্রাণ বাঁচাবে ? আমরা এবার ডিভিসির কাছে ক্ষতিপূরণ চাইব বলে ঠিক করেছি ৷"
এই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাকেও একহাত নেন । বলেন, "কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কথায় কথায় মানবাধিকার কমিশন পাঠান এই রাজ্যে একটা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে । কিন্তু এখন ডিভিসি অনিয়ন্ত্রিতভাবে জল ছেড়ে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত করেছে । তিনি এখন ডিভিসিকে ক্ষতিপূরণ দিতে বলছেন না কেন ? এর আগে আমরা আমফান এবং ফণীর ক্ষতিপূরণের টাকাও পাইনি ৷"
আরও পড়ুন :Ghatal Flood : বন্যার জলে ভেসে গেল ছেলে, নিথর দেহ নিয়ে হাসপাতালে বাবা
তবে মুখ্যমন্ত্রীর এই না জানিয়ে জল ছাড়ার অভিযোগ ইতিমধ্যেই খারিজ করেছে ডিভিসি কর্তৃপক্ষ । তাঁদের দাবি, রাজ্য সরকারকে জানিয়েই জল ছেড়েছে তারা । চিঠি পাঠিয়ে রাজ্য সরকারকে আগেই জানানো হয়েছে এবং একই সঙ্গে মেল ও হোয়াটসঅ্যাপেও রাজ্যকে জল ছাড়ার আগাম তথ্য দেওয়া হয়েছিল, যেমন প্রতিবারই করা হয়ে থাকে ৷