কলকাতা, 6 মে : দল হিসাবে বহরে বাড়ছে তৃণমূল । কিন্তু, দলীয় কর্মীদের যে আত্মসংযম প্রয়োজন তা দেখা যাচ্ছে না ৷ বর্ধিত রাজ্য কমিটির বৈঠকে সেই বার্তাই দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ যেভাবে দলের নিচুতলার কর্মী থেকে শুরু করে নেতাদের নাম দুর্নীতির সঙ্গে জড়াচ্ছে তাতে একরকম বিরক্ত রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান (Mamata Banerjee Warns TMC Leaders Over Corruption and Factionalism Issues) ৷ নিজের বিরক্তি চেপে রাখতে না পেরে, এদিন দলের বৈঠকে বলেই দিলেন তিনি, ‘‘এত টাকার প্রয়োজন কিসে ?’’
অতীতে তৃণমূল সুপ্রিমোকে বারবার দলের বৈঠকে কর্মীদের অন্তর্দ্বন্দ্ব এবং মাটি, বালি, সিন্ডিকেট ইত্যাদি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত থাকা নিয়ে সরব হতে দেখা গিয়েছে ৷ এদিনও তাঁর ব্যতিক্রম হল না। যেভাবে তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ উঠছে তাতে মমতা স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছেন, ‘‘জনপ্রতিনিধিদের কারও বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠলে শীর্ষ নেতৃত্ব তাঁকে সমর্থন করবে না ৷ তৃণমূল কংগ্রেস এমন একটা দল যেটা তৈরি সময় থেকেই মানুষের জন্য কাজ করার লক্ষ্য নিয়ে চলছে ৷ এক্ষেত্রে দলীয় নেতাকর্মীরা এমন কিছু যদি করেন, যা জনগণের স্বার্থের পরিপন্থী সেক্ষেত্রে দল তাঁদের পাশে দাঁড়াবে না ৷’’
এদিন কার্যত দলীয় নেতাকর্মীদের শৃঙ্খলার পাঠ দিয়েছেন মমতা ৷ যেখানে ব্যক্তি স্বার্থকে দূরে সরিয়ে রেখে দলের স্বার্থে কাজ করার কথা বলেছেন তিনি ৷ এ দিন দলীয় বৈঠকে নেতাদের অন্তর্দ্বন্দ্ব নিয়ে সরব হতে দেখা গিয়েছে তৃণমূল সুপ্রিমোকে ৷ কোচবিহারে দলের দুই শীর্ষ নেতা উদয়ন গুহ এবং রবীন্দ্রনাথ ঘোষকে তীব্র ভর্ৎসনা করেন তিনি ৷ দুই নেতার আচরণে ক্ষুব্ধ দলনেত্রী প্রশ্ন তোলেন, ‘‘আপনাদের মধ্যে এই সমস্যা আর কতদিন চলবে ? ঝগড়া করে দলটাকেই তো তুলে দেবেন ৷’’ এ দিন প্রাক্তন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘‘আপনি আর কত প্রচার চান ? আপনি আর কত বক্তব্য রাখবেন ? আপনাকে আর বেশি বক্তব্য রাখতে হবে না ৷’’ ছেড়ে কথা বলেননি উদয়ন গুহকেও । তাঁকে উদ্দেশ্য করে তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, ‘‘নিজেদের মধ্যে বিবাদ করবেন না ৷ জেলা থেকে নেতা তুলে আনব ৷ আর কত প্রচার চাই ?’’
আরও পড়ুন : Mamata Banerjee Reaction : আগে নিজের দিকে তাকান, আগুন নিয়ে খেলবেন না, শাহের ইটের পাল্টা পাটকেল মমতার