কলকাতা, 29 অগস্ট: কয়লা পাচার কাণ্ডে (West Bengal Coal Smuggling Scam) জড়িত থাকার অভিযোগে রাজ্য সরকারের (West Bengal Government) আটজন আধিকারিককে দিল্লিতে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে ৷ সিবিআই (CBI)-এর স্ক্যানারে রয়েছেন জ্ঞানবন্ত সিং, কোটেশ্বর রাও, সুকেশ জৈন, ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, তথাগত বসু, সেলভা মুরুগানরা ৷ সোমবার এই ঘটনা নিয়েই সুর চড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় (Mamata Banerjee) ৷
এদিন কলকাতার ধর্মতলায় আয়োজিত তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের সমাবেশের মঞ্চ থেকে মমতা বলেন, "আমি ইডি, সিবিআই-কে জানি ৷ ওখানেও কিছু ভালো লোক আছেন ৷ তাঁরা ভালো কাজ করেন ৷ আমি তাঁদের সম্মান করি ৷ কিন্তু, সিবিআই, ইডি-র কোরাপশন কেসও (দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলা) আমাদের কাছে আছে ৷ বাংলার অফিসারদের দিল্লিতে ডেকে কিছু করলে, এখানেও যাঁরা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ অ্যাকশন নেব ৷"
আরও পড়ুন:মমতাও চোর, সাধু একমাত্র বিজেপি, তোপ মুখ্যমন্ত্রীর
এদিন শুধুমাত্র রাজ্যের পুলিশকর্তাদের 'হেনস্থা করা' নিয়েই নয়, বিচারব্যবস্থার নিরপেক্ষতা নিয়েও কার্যত প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন তৃণমূস সুপ্রিমো ৷ তাঁর কথায়, "আমি চাই বিচারব্যবস্থা জনগনের পক্ষে কাজ করুক ৷ দেশে বিচারব্যবস্থা সঠিক থাকলে আর কিছু দরকার পড়ে না ৷"
এছাড়া, এদিন সংবাদমাধ্যমকেও নিশানা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় ৷ তিনি বলেন,"দেশের অধিকাংশ মিডিয়াই মোদি সরকারের হয়ে কথা বলছে ৷ তাদের উপর প্রেশার রয়েছে ৷ আজ সমস্ত মিডিয়াকে কিনে নিয়েছে বিজেপি ৷ এত টাকা কোথা থেকে এল ? শাহেনশাহকে জিজ্ঞেস করুন ! 100 কোটি টাকা তো ডিজিটালে লগ্নি করা হয়েছে ৷ এই টাকার উৎস কী ?"
এদিন ফের একবার 'মিডিয়া ট্রায়াল' নিয়েও সরব হতে শোনা গিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ৷ তৃণমূল কংগ্রেসের ছাত্র যুবদের প্রতি তাঁর পরামর্শ, "সংবাদমাধ্যমের খবর দেখে নিজের মতামত ঠিক করবেন না ৷" প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগেই কলকাতা হাইকোর্ট কর্তৃপক্ষের হাতে নিউ সেক্রেটারিয়েট বিল্ডিং বা নবমহাকরণ ভবনটি তুলে দেয় রাজ্য সরকার ৷ সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মমতা ৷ সেখানে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারতির সামনেই মিডিয়া ট্রায়ালের সমালোচনা করেছিলেন মমতা ৷ তাঁর অভিযোগ ছিল, সংবাদমাধ্যমে এমনভাবে বিভিন্ন খবর সম্প্রচার করা হচ্ছে, তাতে আগেভাগেই বহু মানুষকে সরাসরি অভিযুক্ত থেকে দোষী সাব্যস্ত করে দেওয়া হচ্ছে ! আমজনতার উপর এর বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে আশংকা প্রকাশ করেন মমতা ৷