কলকাতা, 7 জুন: রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) বাড়ি থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বেই রয়েছে 'জয় হিন্দ ভবন'৷ এটি আদতে কলকাতা পৌরনিগমের 73 নম্বর ওয়ার্ডের কমিউনিটি হল। অভিযোগ, এই হল ভাড়া করাকে কেন্দ্র করেই বছরের পর বছর ধরে টাকা নয়ছয় করে যাচ্ছিলেন সেখানকারই এক অস্থায়ী কর্মী ৷ অভিযুক্ত ব্যক্তি সরাসরি পৌরনগমের সঙ্গে যুক্ত নন ৷ তিনি আদতে 100 দিনের প্রকল্পের একজন শ্রমিক। সূত্রের দাবি, লাগাতার দুর্নীতি করে গেলেও শেষ রক্ষা হল না তাঁর ৷ প্রকাশ্যে চলে এল সমস্ত ঘটনা ৷ গোটা বিষয়টি জানার পরই প্রতারিতদের সময় নষ্ট না করে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করার পরামর্শ দেন স্থানীয় কাউন্সিলর তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের ভ্রাতৃবধূ কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায়।
কলকাতা পৌরনিগমের তরফে জানা গিয়েছে, ঘটনার সূত্রপাত হয় 2016 সালে । তৎকালীন কাউন্সিলরের ঘনিষ্ঠ এক ব্যক্তিকে100 দিনের প্রকল্পের আওতায় কাজ দেওয়া হয়। তাঁর উপর এই 'জয় হিন্দ ভবন' দেখভালের দায়িত্ব ছিল। আর সেই সুযোগেই ওই কর্মী পৌরনিগমের চোখে ধুলো দিয়ে বেআইনিভাবে বুকিং করিয়ে হল ভাড়ার টাকা আত্মসাৎ করতে শুরু করেন বলে নানা মহলে অভিযোগ ওঠে। কলকাতা পৌরনিগমের কমিউনিটি হল বুকিং করার নিয়ম অনুসারে, ভাড়ার সব টাকা ড্রাফট মারফত ব্যাঙ্কে জমা দিতে হয় ৷ বুকিং করতে হয় স্থানীয় বরো অফিসে গিয়ে। কিন্তু, অভিযুক্ত ব্যক্তির কাছে যাঁরা আসতেন, তাঁদের জন্য ছিল 'বিশেষ' ব্যবস্থা ৷ কলকাতা পৌরনিগমের (Kolkata Municipal Corporation) চালানের রঙিন প্রতিলিপির তারিখ বদলে নগদের বিনিময়ে ওই বাড়ি ভাড়া দিতেন অভিযুক্ত ৷ ফলে পৌরনিগমের তহবিলে ওই ভাড়ার টাকা জমা পড়ত না।
আরও পড়ুন:Mamata at Alipurduar: এতকিছু করার পরও সমর্থন করেননি, দুঃখ পেয়েছি; আলিপুরদুয়ারে বললেন মমতা
সূত্রের খবর, ওই কমিউনিটি হলের এক দিনের ভাড়া প্রায় 20 হাজার টাকা। বরো অফিসের পক্ষ থেকে যেদিন যেদিন বুকিং থাকত, সেই তালিকার বাইরে ফাঁকা দিনগুলিতে এই কর্মী নকল প্রতিলিপি দিয়ে 'জয় হিন্দ ভবন' ভাড়া দিতেন। অভিযোগ, দিনের পর দিন এভাবেই চলছিল ৷ সম্প্রতি এক ব্যাক্তি বুকিংয়ের জন্য এসেছিলেন 9 নম্বর বরোর কার্যালয়ে। বরোর তরফে বাড়ি ভাড়া পাওয়ার জন্য ফাঁকা দিনের (Available Dates) তালিকা তাঁকে জানিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু, এরপর কমিউনিটি হল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাদের হয়ে অভিযুক্ত ওই কর্মী দাবি করেন, বরোর পক্ষ থেকে পেশ করা তথ্য সঠিক নয় ৷ তিনি জানান, সংশ্লিষ্ট সময়ের মধ্যে একদিনও 'জয় হিন্দ ভবন' খালি নেই !