পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / city

মন্ত্রীকে অনুরোধেও সরেনি গাছ, 3দিন গৃহহীন খানপুরের 20টি পরিবার

ঘূর্ণিঝড় আমফানে খানপুরের 20টি বাড়ির উপর ভেঙে পড়েছে গাছ ৷ রাজ্য সরকারের বিভিন্ন হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করলেও মেলেনি কোনও উত্তর ৷ তিনদিন ধরে জল ও বিদ্যুৎহীন খানপুরের বাসিন্দারা ৷ বাধ্য হয়ে আজ তাঁরা NSC বোস রোড অবরোধ করেন ৷

agitation
NSC বোস রোড অবরোধ

By

Published : May 23, 2020, 9:53 PM IST

কলকাতা, 23 মে: আমফানে বাড়ির উপর ভেঙে পড়েছে গাছ, ঘরছাড়া বহু মানুষ ৷ প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েও মিলছে না কোনও সুরাহা ৷ নিরুপায় হয়ে রাস্তায় বিক্ষোভে নামল 98 ওয়ার্ডের বাসিন্দা ৷

ঘূর্ণিঝড় আমফান আসার আগেই রাজ্যজুড়ে সতর্কতা জারি করা হয়েছিল ৷ প্রশাসনের কথা মেনেই ঝড় আসার আগেই নিজেদের কাঁচা বাড়ি ছেড়ে ক্লাবে আশ্রয় নিয়েছিলেন দক্ষিণ কলকাতার খানপুরের বেশ কয়েকটি বাড়ির বাসিন্দারা ৷ ঝড়ের দাপট শেষ হলে তাঁরা দেখেন বেশ কয়েকটি বাড়ির উপর ভেঙে পড়েছে বিশালাকায় একটি গাছ ৷

সাইক্লোন আমফান হওয়ার পর থেকেই এলাকায় নেই বিদ্যুৎ, পানীয় জলেরও কোনও ব্যবস্থা করা হয়নি ৷ এভাবেই তিনদিন কাটিয়ে ফেলল খানপুর রোডের বাসিন্দারা ৷ বারবার খবর দেওয়া সত্ত্বেও পুরসভার তরফ থেকে কোনও জবাব না মেলায় স্থানীয় বাসিন্দারা নিজেই হাত লাগিয়েছিলেন গাছ কেটে এলাকা পরিষ্কার করতে ৷ ডালপালা সরাতে পারলেও বিনা ক্রেনে গাছের গুঁড়ি সরানো অসম্ভব ৷ এদিকে প্রশাসনের কোনও হেলদোল নেই ৷ বাধ্য হয়ে NSC বোস রোডে অবরোধে নামলেন খানপুরবাসী ৷ তাঁদের দাবি, দ্রুত প্রশাসনকেই দায়িত্ব সহকারে গাছ সরাতে হবে ৷ এলাকায় চালু করতে হবে বিদ্যুৎ ৷

স্থানীয় বাসিন্দাদের কথায়, 20 মে রাতে আমফান ঝড়ে কুড়িটি বাড়ির উপর ভেঙে পড়ে গাছ ৷ ঘটনাটি বিস্তারিতভাবে জানানো হয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ৷ দেখানো হয় ছবিও ৷ তিনি আশ্বাস দিলেও এখনও অবধি কোনও পদক্ষেপই নেওয়া হয়নি ৷ তিনদিন ধরে পাড়ার ক্লাবেই ঠাই নিয়েছে 20টি পরিবার ৷ এলাকায় নেই পানীয় জল ও বিদ্যুৎ ৷ গাছ কাটতে গিয়ে একজনের মাথা ও একজনের পা ভেঙেছে ৷ যত সময় পেরোচ্ছে, ততই বাড়িগুলির উপর গাছের গুড়ি বসে যাচ্ছে ৷ অবশিষ্ট অংশও ভেঙে পড়ছে ধীরে ধীরে ৷

স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য

অন্য এক বাসিন্দা অভিযোগ করেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ির সামনে একটি ছোটো গাছ ভেঙে পড়েছিল ৷ সেটা পরিষ্কার করে নেওয়া হয়েছে ৷ অথচ আমরা নিজেদের পরিস্থিতি জানালে তিনি কেবল আশ্বাসই দেন ৷ তিনদিন কেটে গেলেও কেউ আসেনি গাছ কাটতে ৷

রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে প্রায় কয়েক হাজার গাছ উপড়ে পড়েছে ৷ ঝড়ের রাত থেকেই পুরসভা ও NDRF কর্মীরা কাজে নামলেও ব্যাপক ক্ষতির ফলে এখনও কলকাতা তথা রাজ্যের বিভিন্ন রাস্তা বন্ধ ৷ তিনদিন কেটে গেলেও বহু এলাকাই জল-বিদ্যুৎহীন অবস্থায় রয়েছে ৷ আজ মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যবাসীকে ধৈর্য ধরতে বলেন ৷ তবে গৃহহীন মানুষেরা যে ধৈর্য হারাচ্ছেন, তা রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ থেকেই স্পষ্ট ৷

ABOUT THE AUTHOR

...view details