বনধের সমর্থনে আজ রাস্তায় বিরোধীরা

নতুন কৃষি আইনের প্রতিবাদে আজ ভারত বনধ ৷ সকাল 11 টা থেকে 3 টে পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে বনধ পালন করা হবে বলে জানিয়েছে কৃষক সংগঠনগুলি ৷ বনধকে নৈতিক সমর্থন জানিয়েছে রাজ্যের শাসকদল ৷ অন্যদিকে বনধের সমর্থনে রাস্তায় নামতে চলেছে বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস ৷ শহরের বিভিন্ন জায়গায় দফায় দফায় চলবে অবস্থান বিক্ষোভ ৷

কলকাতা, 8 ডিসেম্বর : নতুন কেন্দ্রীয় কৃষি আইনেরবিরোধিতায় কৃষক সংগঠনগুলির ডাকা ভারত বনধে আজ সামিল হতে চলেছে এ রাজ্যের বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেসসহ বিরোধীরা ৷

ধর্মঘটের সমর্থনে রাস্তায় নামছে এসইউসিআই ৷ সকাল ন'টা নাগাদ শিয়ালদা থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল করবে তারা । কংগ্রেস এবং বামদলগুলি শহরের বিভিন্ন জায়গায় দফায় দফায় অবস্থান-বিক্ষোভ করবে । মিছিল হবে শ্যামবাজার থেকে যাদবপুর পর্যন্ত । তবে একটানা মিছিল নয় । শ্যামবাজার থেকে খান্না পর্যন্ত যাবে একটি মিছিল । পরে মানিকতলা থেকে শিয়ালদা পর্যন্ত আসবে আরেকটি মিছিল । মৌলালি থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত যাবে আরেকটি মিছিল । সকালবেলা যাদবপুর 8 বি বাসস্ট্যান্ড থেকে লডসের মোড় পর্যন্ত মিছিল করবে বাম এবং কংগ্রেসের ছাত্র, যুব এবং মহিলা সংগঠন ।

বনধের সমর্থনে পার্ক সার্কাসের কোয়েস্ট মল থেকে গড়িয়াহাট পর্যন্ত প্রতিবাদ মিছিল করবে প্রদেশ কংগ্রেস । মিছিলে পা মেলাবেন কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য, প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক রোহন মিত্রসহ কংগ্রেসের অন্য নেতৃবৃন্দ ৷ আজ রেশন দোকান বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়েছে অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস শপ ডিলারস ফেডারেশনের তরফে ৷ ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বম্ভর বসু জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় কৃষি আইনের প্রতিবাদে কৃষকদের আন্দোলনের সমর্থনে আজ দেশের সব রেশন দোকান বন্ধ রাখা হবে ৷

অন্যদিকে কৃষকদের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ গতকাল মেদিনীপুরের জনসভা থেকে তিনি বলেন, "কৃষক আন্দোলনের পাশে আছি, থাকব । বনধকে নৈতিক সমর্থন জানাচ্ছি । " যদিও রাজ্য প্রশাসন সূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রীর কঠোর নির্দেশ আছে, কৃষক আন্দোলনের সমর্থনে রাজ্যে কেউ পথে নামলেও যাতে সাধারণ মানুষকে কোনও সমস্যায় পড়তে না হয় । একইসঙ্গে সঠিক সময়ে কর্মস্থলে পৌঁছে যেতে বলা হয়েছে সরকারী কর্মীদের । স্বাভাবিক থাকবে সমস্ত সরকারি দপ্তর, পরিষেবা ৷

বনধ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর এই ধরনের অবস্থানের অবশ্য সমালোচনা করেছেন বিরোধীরা ৷ তাঁদের মতে মুখ্যমন্ত্রী যা বলেন, তার সঙ্গে বাস্তবের মিল নেই । বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু গতকাল একটি বিবৃতিতে জানিয়েছেন, তৃণমূল কংগ্রেস কৃষক দরদী হলে ধর্মঘটে তারাও পথে নামত । আগামীকাল শাসকদলের প্রকৃত রূপ দেখবে বাংলার মানুষ । বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান জানান, মুখ্যমন্ত্রী কৃষক দরদি হলে সর্বতোভাবে ধর্মঘটকে সমর্থন করতেন । উনি বিজেপির সঙ্গে সমঝোতা করেই চলেছেন ।