কলকাতা, 25 সেপ্টেম্বর: একজন ক্রেতা জিনিস পছন্দ করতে না-করতেই আরও এক ক্রেতা দাম নিয়ে দরাদরি শুরু করে দিচ্ছেন ! তাঁদের পিছনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন অন্য আরও অনেক ক্রেতা ! ব্যবসা সামলাতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে বিক্রেতাদের ৷ কিন্তু তাতে এতটুকুও বিরক্ত নন দোকানের মালিক ও কর্মীরা ৷ বরং তাঁরা খুশি ৷ তাঁদের বক্তব্য, দোকানে একসঙ্গে এত ক্রেতার ভিড় সাম্প্রতিককালে চোখে পড়েনি ৷ করোনাকালের খরা কাটিয়ে অবশেষে দুর্গাপুজোর (Durga Puja 2022) মুখে জমে উঠেছে ব্যবসা ৷ আর তাতেই খুশি উত্তর কলকাতার (Kolkata) হাতিবাগানের ব্যবসায়ীরা ৷ একই ছবি ধরা পড়েছে মধ্য কলকাতার নিউ মার্কেট চত্বরেও ৷
দুর্গাপুজোর আগে এটাই ছিল (25 সেপ্টম্বর, 2022) শেষ রবিবার ৷ আর সেই কারণেই এদিন সকাল থেকেই শহরের বাজারগুলিতে (Durga Puja Shopping) ছিল উপচে পড়া ভিড় ৷ যত দূর চোখ গিয়েছে দেখা গিয়েছে শুধু কালো মাথা ! বেলা যত বেড়েছে, ভিড়ের মাত্রাও ততই বেড়েছে ৷ ভিড়ের জেরে যান নিয়ন্ত্রণ করতে রাস্তায় নামতে হয়েছে পুলিশকে ৷
আরও পড়ুন:কলকাতার দুর্গাকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি, নেপথ্যে রয়েছেন আরও এক 'দুর্গা'
দোকানিরা বলছেন, গত দু'বছর করোনার জেরে স্বাভাবিক জনজীবন কার্যত থমকে গিয়েছিল ৷ যার প্রভাব পড়েছিল পুজোর বাজারেও ৷ কিন্তু, এবার সেই ধাক্কা অনেকটাই সামলে ওঠা সম্ভব হয়েছে ৷ কলকাতার উত্তর থেকে দক্ষিণ, সর্বত্রই ফিরেছে পুজো শপিংয়ের চেনা ছবি ৷ ব্যবসায়ীরা বলছেন, মানুষ শুধুমাত্র রাস্তায় বেরিয়েছে, তাই নয় ৷ তারা জমিয়ে কেনাকাটাও করছে ৷ অর্থাৎ আমজনতার হাতেও খরচ করার মতো টাকা আছে ৷ ফলে ফুটপাথের অস্থায়ী দোকান থেকে ঝাঁ চকচকে শপিং মল, সব জায়গাতেই কর্মীদের দম ফেলার ফুরসত নেই ৷
পুজোর বাজারে উপচে পড়া ভিড় ৷ নিউ মার্কেটের ব্যাবসায়ী সুরজ ওঝার কথায়," আমরা আমাদের প্রাণ ফিরে পেয়েছি ৷ ব্যবসা খুব ভালো হচ্ছে ৷ গত কয়েকটা রবিবারও খুব ভিড় হয়েছিল ৷ তাতেই বোঝা যাচ্ছিল, শেষ রবিবারও ভিড় উপচে পড়বে ৷ সেটাই হয়েছে ৷ করোনাকালের আগের চেহারায় ফিরছে পুজোর বাজার ৷ ছোটদের জামা, প্যান্ট বিক্রি করি আমরা ৷ পুজোর সময় কয়েক লক্ষ টাকার ব্যবসা হয় ৷ কিন্তু, দুই বছর ব্যবসা মার খেয়েছে ৷ এবার আশা করি, ভালোই রোজগার হবে ৷"
অন্যদিকে, এক ক্রেতা বলেন, "মাসের প্রথমে বেতনের টাকা হাতে পেতেই এক দফা কেনাকাটা সেরে ফেলেছিলাম ৷ এবার বোনাস ঢুকেছে ৷ তাই বাদবাকি কেনাকাটা সারছি এখন ৷"