কলকাতা, 8 অক্টোবর : বাগুইআটিতে জোড়া খুনেও (Baguiati Double Murder) রাজ্য পুলিশের সঙ্গে বিধাননগর কমিশনারেট পুলিশের মধ্যে সমন্বয়ের অভিযোগ উঠেছিল ৷ এবার সেই একই অভিযোগ উঠল হরিদেবপুরের অয়ন মণ্ডলের খুনের ঘটনায় ৷ অভিযোগ, দেহ সনাক্তকরণের জন্য ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার তরফে সমস্ত তথ্য পাঠানোর পরও বিষয়টি নজর এড়িয়ে যায় কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) ৷
কেন এমন ঘটনা ঘটল ? কেন এই সমন্বয়ের অভাব ? কেন ইমেল যথাসময়ে দেখা হয়নি ? এই প্রশ্নগুলির সম্মুখীন হতে হচ্ছে কলকাতা পুলিশকে ৷ তাই এই ঘটনায় আসলে কার গাফলতি ছিল, তা খতিয়ে দেখছে কলকাতা পুলিশ ৷ লালবাজারের (Lalbazar) তরফে অভ্য়ন্তরীণ তদন্তও শুরু হয়েছে এই নিয়ে ৷
এদিকে অয়নের খুনে (Haridevpur Youth Body Recovered) একাধিক তত্ত্ব উঠে আসছে ৷ অভিযোগ, বিজয়া দশমীর রাতে মত্ত অবস্থায় বান্ধবী ও বান্ধবীর মাকে শারীরিকভাবে হেনস্তা করেন অয়ন ৷ দিদি ও মায়ের সম্মানরক্ষার্থে বান্ধবীর ভাই অয়নকে খুন করে ৷ আপাতত এই তথ্য উঠে এসেছে তদন্তকারীদের হাতে ৷ এর মধ্যে কতটা সত্যতা আছে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ ৷
এখনও পর্যন্ত তদন্তের ভিত্তিতে পুলিশ জানতে পেরেছে, দশমীর রাতে 12টা নাগাদ বান্ধবীর বাড়িতে পৌঁছায় অয়ন । অভিযোগ, সেই সময় অয়ন মত্ত অবস্থায় ছিল । অয়ন তাঁর বান্ধবীর মায়ের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়ে । তাঁকে শারীরিকভাবে নিগ্রহ করে ৷ সেই সময়ে অয়নের বান্ধবী চলে আসে ৷ তখন বান্ধবীর উপর মত্ত অবস্থায় চড়াও হন অয়ন । মারধরের চেষ্টা করেন ৷