কলকাতা, 23 অগস্ট:প্রাক্তন নগরপাল সৌমেন মিত্রের উদ্যোগে কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) অন্তর্গত প্রতিটি থানার মালখানাগুলিতে ডিজিটালাইজেশন ব্যবস্থা করে দেওয়া হয় । যার ফলে এখন খুব সহজেই হিসাব রাখা যায় কতগুলি পরিত্যক্ত গাড়ি আসছে মালখানায় ৷ কিন্তু এখনও বেশ কিছু থানার ভিতরে এবং বাইরে যত্রতত্র আবর্জনা মজুদ করে রাখার খবর এসেছে লালবাজারে । তার উপর শহরে দিন দিন বাড়ছে ডেঙ্গি। আর এই পরিস্থিতিতে শহরের প্রতিটি থানায় যাতে কোনওরকমের নোংরা আবর্জনা এবং জল জমে না থাকে, তার জন্য এবার ডেঙ্গি নিয়ে শহরের প্রতিটি থানাকে আগাম সতর্কতা জারি করল লালবাজার (Lalbazar issues advisory to prevent Dengue)।
যদিও এখনও পর্যন্ত কলকাতা পুলিশের অন্তর্গত কোন থানায় বা কোন কর্মী ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হওয়ার খবর সামনে আসেনি । তবু পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতির কথা মাথায় লালবাজারে তরফে ইতিমধ্যেই শহরের প্রতিটি থানা এবং ট্রাফিক গার্ডগুলিতে এই আগাম সর্তকবার্তা জারি করা হয়েছে । আগে থানার বাইরে মালখানায় যত্রতত্র আবর্জনা এবং পুরাতন গাড়ি জড়ো করে রাখা হত ৷ ফলে একদিকে যেমন দৃশ্য দূষণ হত, অপরদিকে সেই আবর্জনার মধ্যে বৃষ্টির জল জমে জন্ম নিত একাধিক জীবাণু । যার ফলে ম্যালেরিয়া থেকে শুরু করে ডেঙ্গি হওয়ার সম্ভবনা তৈরি হয় ৷
আরও পড়ুন:ডেঙ্গি প্রতিরোধে পৌরনিগমের কর্মীদের সঙ্গে সহযোগিতা না করলে পুলিশি ব্যবস্থা, ঘোষণা ফিরহাদের
তবে বর্তমানে শহরের প্রতিটি থানার মালখানা এখন অনেক সাজানো গোছানো ৷ কিন্তু তা সত্ত্বেও থানার ভিতর যাতে কোনওরকমের দূষিত আবর্জনার স্তূপ গড়ে উঠতে না পারে তার জন্যই পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতিকে লক্ষ্য করে ডেঙ্গির আগাম সতর্কবার্তা জারি করেছে লালবাজার ।
প্রসঙ্গত, রাজ্যে ক্রমশই বাড়ছে ডেঙ্গির প্রকোপ ৷ বিশেষত উৎসবের মরশুমে এই প্রকোপ আরও বাড়তে পারে আশাঙ্কা প্রকাশ করে তিলোত্তমার নাগরিকদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী ৷ ইতিমধ্যেই রাজ্য়ের বিভিন্ন পৌরনিগমকে মশাবাহিত রোগের বিষয়েও সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্যভবন ৷ তবে বর্তমানে শহরের ডেঙ্গি পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় নাগরিকদেরই দোষারোপ করেছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম ৷ তিনি জানান, রাজ্যের ডেঙ্গি প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা সঠিকভাবে নগরবাসী না-মানলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে কলকাতা পৌরনিগম (Kolkata Municipal Corporation) ৷ প্রয়োজনে পুলিশের দ্বারস্থও হতে পারে পৌরনিগম ৷
জানা গিয়েছে, 106 নম্বর ওয়ার্ডে যে সমস্ত এলাকায় কচু গাছের জঙ্গল তৈরি হয়েছে, সেখানেই বেড়েছে ডেঙ্গির সংক্রমণ । নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, কচুগাছ কিংবা অন্যান্য আগাছার জঙ্গল দ্রুত কেটে ফেলতে হবে । শুধু একটি ওয়ার্ড নয়, বাকি ওয়ার্ডগুলিকেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আগাছা পরিষ্কারের সঙ্গেই কচুগাছ কেটে ফেলার । 13টি থেকে বেড়ে বর্তমানে 16টি ওয়ার্ড ডেঙ্গু প্রবণ হয়ে দাঁড়িয়েছে । 106 নম্বর ওয়ার্ডে চলতি মাসে 40 জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন ।