কলকাতা, 15 জুন: কলকাতা পুলিশের প্রতিটি থানার ইনচার্জদের কাছে সেখানকার কর্মীদের মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত রিপোর্ট চাইল লালবাজার (Lalbazar Asks for Mental Health Reports of All Police Personnel) ৷ যেখানে লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগের কাছেও, তাঁদের কর্মীদের মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত রিপোর্ট চাওয়া হল ৷ আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে এই রিপোর্ট কলকাতা পুলিশের সদর দফতরে জমা দিতে বলা হয়েছে ৷
সম্প্রতি পার্ক সার্কাসে বাংলাদেশ ডেপুটি হাই কমিশনের সামনে কলকাতা পুলিশের সশস্ত্রবাহিনীর কনস্টেবল সি লেপচা এলোপাথাড়ি গুলি চালান ৷ সেই ঘটনায় এক যুবতীর মৃত্যু হয় ৷ দু’জন আহতও হন ৷ আর অভিযুক্ত কনস্টেবল সার্ভিস এসএলআর থেকে গুলি চালিয়ে আত্মঘাতী হন ৷ সেই ঘটনার থেকে শিক্ষা নিয়েই লালবাজারের তরফে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে ৷
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক কলকাতা পুলিশের আইনশৃঙ্খলার দায়িত্বে থাকা এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক জানান, ‘‘সি লেপচার মানসিক অবসাদের কথা আগে জানা থাকলে, সেই মতো কাউন্সেলিংয়ের বন্দোবস্ত করা হত ৷ তাহলে এক বাইক সওয়ারি এবং ওই পুলিশকর্মীর প্রাণ যেত না ৷’’ আর সেই কারণেই লালবাজারের তরফে কলকাতা পুলিশের প্রতিটি থানার ইনচার্জদের তাঁর ইউনিটের প্রত্যেক কর্মীর মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে ৷
আরও পড়ুন :Lalbazar Research and Development Cell: পুলিশ কর্মীদের সমস্যা শুনতে লালবাজারে খুলল গবেষণা ও উন্নয়ন শাখা
প্রসঙ্গত, লালবাজারে একটি নতুন বিভাগ চালু করা হয়েছে ৷ যার নাম রাখা হয়েছে গবেষণা ও উন্নয়ন শাখা ৷ যার কাজ হবে নিচুতলার পুলিশ কর্মীদের মানসিক ভাবে সুস্থ রাখা এবং তাঁদের মনোবল টিকিয়ে রাখা ৷ সেই সঙ্গে পুলিশের নানা কাজের মধ্যে ঘাটতিপূরণের কাজও করবে এই গবেষণা ও উন্নয়ন শাখা ৷ যেখানে কলকাতা পুলিশের নিচুতলার কর্মীদের সমস্যার কথা শোনা হবে ৷ কাজের ক্ষেত্রে কী কী সমস্যা হচ্ছে ? পাশাপাশি শহরের অপরাধ দমন ও তদন্ত প্রক্রিয়া কীভাবে হচ্ছে ? সেদিকেও নজর রাখবে কলকাতা পুলিশের নতুন এই শাখা ৷