কলকাতা, 31 জুলাই : মন্ত্রিত্ব নেই ৷ তাই দমবন্ধ লাগছে ৷ এখন এগুলো হয় ৷ তাই মানসিক হতাশা থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন পোস্ট করছেন প্রাক্তন মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় ৷ রাজনীতি ছাড়ার ইঙ্গিত দিয়ে বাবুলের ফেসবুক পোস্ট নিয়ে এভাবেই কটাক্ষ করলেন রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র কুণাল ঘোষ ৷ বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ কুণাল ৷ বললেন, এগুলোকে বলে দৃষ্টি আকর্ষণী প্রস্তাব ৷ গুরুত্ব দেওয়ার কোনও কারণ নেই ৷ যদিও বিষয়টি নিয়ে ভিন্ন সুর সোনা গিয়েছে বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী এবং কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্যের গলায় ৷
টোকিয়োয় তখন ফাইনালে ওঠার লড়াই চলছে পিভি সিন্ধুর ৷ শনিবার বিকেলে সকলের নজর তখন টিভির দিকে ৷ তার মাঝেই সোশ্যাল মিডিয়ায় বোমা ফাটালেন প্রাক্তন মন্ত্রী ও বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় ৷ দীর্ঘ ফেসবুক পোস্টে রাজনীতি ছাড়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রাক্তন মন্ত্রী ৷ যা ঘিরে হইচই পড়ে গিয়েছে ৷ বাবুল লিখেছেন, "বেশ কিছু সময় তো থাকলাম ৷ কিছু মন রাখলাম কিছু ভাঙলাম ৷ কোথও আপনাদের হয়তো আমার কাজে খুশি করলাম ৷ কোথাও নিরাশ, হতাশ করলাম ৷ মূল্যায়ন আপনারাই করুন ৷ তাই আমার মতো করে বলছি, চললাম ৷ সোশ্যাল ওয়ার্ক করতে গেলে রাজনীতিতে না থেকেও তো করা যায় ৷"
বাবুলের এই সিদ্ধান্তকে মানসিক হতাশার প্রকাশ বলে বর্ণনা করেছেন রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ ৷ তিনি বলেছেন, "বাবুল এখন কোণঠাসা ৷ ওর কথা কেউ শোনে না ৷ এগুলোকে বলে দৃষ্টি আকর্ষণী প্রস্তাব ৷ একবার সাধিলেই থাকিব ৷ এগুলোকে গুরুত্ব দেওয়ার কোনও কারণ নেই ৷ এগুলো আভ্যন্তরীণ মানসিক হতাশার প্রকাশ ৷ এখন দমবন্ধ লাগবে, অক্সিজেন কম মনে হবে ৷" কটাক্ষের সুরে কুণাল বলেছেন, "বাবুল সুপ্রিয় আগে বলতেন, কহো না পেয়ার হ্যায় ৷ মানুষ বলেছে, না বলব না ৷ এখন গাইছে, এক গোছা রজনীগন্ধা হাতে নিয়ে বললাম, চললাম ৷ দু‘দিন বাদে বলবে তবু মনে রেখো ৷ তাই এগুলোকে গুরুত্ব দিয়ে লাভ নেই ৷"