কলকাতা, 27 অক্টোবর : বিজেপির সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়েছিল আগেই । দলছাড়া এক রকম পাকা হয়ে গিয়েছিল । সংবাদমাধ্যমে নিজে জানিয়েও দিয়েছিলেন ঘরে ফেরার কথা । তবে শাসকদলের শীর্ষ নেতৃত্ব সময় নিচ্ছিলেন । অবশেষে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সম্মতিতে তৃণমূলে ফিরলেন রায়গঞ্জের বিজেপি বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী (Krishna Kalyani) । তৃণমূল সূত্রে আগেই জানা গিয়েছিল, বুধবার বিকেল তিনটে নাগাদ কলকাতায় তৃণমূলে যোগ দেবেন তিনি । পরিকল্পনা মতোই কাজ হল ৷ ঘাসফুল শিবিরে ফিরে এলেন কৃষ্ণ ৷ একাুশের বিধানসভা ভোটের ঠিক আগেই বিজেপিতে যোগদান করেন ৷ বছর ঘোরার আগেই ফিরে এলেন ঘরে ৷
অনেক দিন ধরেই বেসুরো ছিলেন তিনি । একের পর এক দল বিরোধী মন্তব্য করতে শোনা যাচ্ছিল তাঁকে । এমনকি, ক্ষোভ উগরে দিচ্ছিলেন দলীয় নেতৃত্বদের বিরুদ্ধেও । দলের কর্মসূচিতেও যোগ দিচ্ছিলেন না তিনি । তারপরই সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে 1 অক্টোবর বিজেপি ছেড়েছিলেন রায়গঞ্জের বিধায়ক ৷ বুধবার বিকেলেই তৃণমূলে ওয়াপসি হল ৷
নির্বাচনে জেতার কয়েক মাসের মধ্যে বিজেপি সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরীর (Debasree Chaudhuri) সঙ্গে সংঘাত শুরু হয় তাঁর । রায়গঞ্জের বিজেপি সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী ও বিজেপির জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকারের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা, তুঘলকি আচরণ, ষড়যন্ত্র ও স্বজনপোষণের অভিযোগ তুলে গত 5 সেপ্টেম্বর জেলায় দলের সমস্ত কর্মসূচি থেকে সরে দাঁড়ান কৃষ্ণ । এরপর বাবুল সুপ্রিয়র তৃণমূলে যোগদান ও সুকান্ত মজুমদারকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি পদে বসানোকে কেন্দ্র করে দলের রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে সুর চড়ান কৃষ্ণ । সেই সময় থেকেই শোনা যাচ্ছিল, যেকোন সময় তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন তিনি । তা পিছোতে পিছোতে আজ বুধবার অবশেষে যোগদান করলেন তিনি ।