কলকাতা, 13 মার্চ : কোরোনা ভাইরাসের (COVID-19) দাপট রুখতে এবার কোমর বেঁধে নামল কলকাতা পোর্ট ট্রাস্ট । রেল স্টেশন ও এয়ারপোর্টগুলির মতোই বন্দরগুলিতে রোজই প্রায় দেশ-বিদেশের জাহাজ আসে । তাই সেসব জাহাজের কর্মী ও সদস্যদের প্রাথমিক স্ক্রিনিং সহ আরও বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ করেছে কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষ । কী করে সামাল দেওয়া যাবে এই পরিস্থিতি সে বিষয় ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্য দপ্তরের সঙ্গে সবকটি বন্দর কর্তৃপক্ষের দফায় দফায় ভিডিয়ো কনফারেন্সও হয়েছে ৷
কোরোনা মোকাবিলায় কড়া পদক্ষেপ বন্দর কর্তৃপক্ষের - corona
বন্দরের চেয়ারম্যান বিনীত কুমার জানিয়েছেন, 29 জানুয়ারি থেকে 470টি জাহাজের আট হাজার 100জন ক্রু সদস্যের স্ক্রিনিং হয়েছে ৷
কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের চেয়ারম্যান বিনীত কুমার জানিয়েছেন, ‘‘গত দু’সপ্তাহ ধরে ভারতীয় এবং বিদেশি জাহাজ নোঙরের ছাড়পত্র দেওয়ায় আমরা নিষেধাজ্ঞা জারি করেছি ৷ সমস্ত ক্রু সদস্যের ক্ষেত্রেও এই নিয়ম প্রযোজ্য ৷’’ ভারতের অন্যান্য বন্দর ও বাংলাদেশের বন্দর থেকে আসা সমস্ত জাহাজ ও তার ক্রু সদস্যদের কলকাতা বন্দরে নামতে দেওয়া হচ্ছে না ৷ তবে জাহাজ চলাচলে কোনও সমস্যা নেই বলে জানিয়েছেন বন্দরের চেয়ারম্যান ৷ কোনও বিদেশি জাহাজ ভারতের জলসীমায় প্রবেশ করলে সেই জাহাজের মাস্টার ওই জাহাজে থাকা নাবিক ও অন্যান্য সদস্য এবং ক্রুদের শরীরের তাপমাত্রা ও আরও বেশ কয়েকটি প্রয়োজনীয় তথ্য বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে । সেইসব তথ্য পরীক্ষার পর সব ঠিক থাকলে তবেই সেই জাহাজটিকে বন্দরে নোঙর করতে অনুমতি দেওয়া হবে । অন্যদিকে পোর্ট পাইলটদের রোদচশমা, স্যানিটাইজার, মাস্ক ও হ্যান্ড গ্লাভস ব্যবহারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে । বন্দর কর্মীদের জন্য ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম, ডিসপোজেবল অ্যাপ্রন, বিশেষ জুতো ও চোখের চশমার ব্যবহার করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ।
কোরোনা আতঙ্কের পর কলকাতা বন্দর থেকে পণ্য পরিবহনে কোনও সমস্যা হয়নি ৷ তবে চিনে লৌহ আকরিক রপ্তানির ক্ষেত্রে প্রভাব পড়েছে বলে জানা গিয়েছে ৷ কলকাতা ও হলদিয়ায় আইসোলেশন ইউনিট তৈরি করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ ৷ প্রয়োজনে কয়েকটি বিল্ডিং আইসোলেশন ইউনিটের কাজে ব্যবহৃত হবে ৷ চেয়ারম্যান বিনীত কুমার জানিয়েছেন, 29 জানুয়ারি থেকে 470টি জাহাজের আট হাজার 100জন ক্রু সদস্যের স্ক্রিনিং হয়েছে ৷ ভারতের সমস্ত বন্দরে ক্রুজ় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কেন্দ্র ৷ পোর্ট ব্লেয়ার ও কলকাতা বন্দরের মধ্যে যাত্রীবাহী জাহাজ চলাচলে কোনও প্রভাব পড়েনি ৷ কেন্দ্রীয় জাহাজ ও স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সব নির্দেশিকা মেনে চলা হবে বলে জানিয়েছে কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষ ৷