কলকাতা, 22 নভেম্বর: কালো টাকাকে সাদা করার বিষয় । অভিযোগ, আয়কর দপ্তরের এক IRS পদমর্যাদার অফিসারের সঙ্গে যোগসাজশে কলকাতায় হয়েছে বড়সড় দুর্নীতি । সেই বিষয়ে অভিযোগ দায়ের হয় 2017 সালের 5 মে । সেই মামলায় দীর্ঘ তদন্তের পর চাটার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট হিসেবে পরিচিত এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করল কলকাতা পুলিশ । সেই গ্রেপ্তারি নিয়ে রাজ্যপাল জাগদীপ ধনকড়ের টুইট । তার ফলে এই গ্রেপ্তারি নিয়ে লেগে গেল রাজনৈতিক রঙ । রাজ্যপালের অভিযোগ রাজনৈতিক কারণে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ওই চাটার্ড অ্যাকাউন্টেন্টকে । যদিও লালবাজারের এক শীর্ষকর্তা জানিয়েছেন, ওই ব্যক্তি আদৌ চাটার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট নয় ।
বহু কোটির দুর্নীতিতে আয়কর কর্তা, টুইট রাজ্যপালের - kolkata police
আয়কর দপ্তরের এক IRS পদমর্যাদার অফিসারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের হয় ৷ রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় টুইট করেন ৷
পুলিশ জানিয়েছে, কলকাতায় তৈরি করা হয়েছিল একটি ভুয়ো সংস্থা । যাদের কাজ ছিল আয়কর দপ্তরের হানাদারিরর পর, কোনও ব্যক্তি বা সংস্থার কাছে পৌঁছানো । আইকন দপ্তরের হানাবাড়িতে চিন্তিত ব্যক্তি বা সংস্থার শীর্ষ কর্তাদের কাছে পৌঁছে গোবিন্দ আগরওয়াল দিত টোপ । জানাত, পুরো বিষয়টিই তার সংস্থা দেখে নেবে । কোটি কোটি টাকার বিনিময়ে আয়কর দপ্তরের কর্তাদের সঙ্গে যোগসাজশ করে সমস্যা থেকে বের করা হতো সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা সংস্থাকে । শুধু তাই নয় এই গোবিন্দ নিজেকে চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট হিসেবে পরিচয় দিতেন । সূত্রের খবর, তার সংস্থায় বেশ কয়েকজন চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট যুক্ত ছিলেন। সেই ঘটনা নিয়ে কলকাতা পুলিশের হেয়ার স্ট্রিট থানায় 2017 সালে দায়ের হয় অভিযোগ। মূলত দুর্নীতির মামলায় অভিযোগ আনা হয় আয়কর দপ্তরের ওই শীর্ষ কর্তার বিরুদ্ধে। তার সঙ্গেই সেই অভিযোগে নাম ছিল গোবিন্দর। দীর্ঘ তদন্তের পর গতকাল রাতে লেক থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় গোবিন্দকে। আয়কর দপ্তরের ওই শীর্ষকর্তা আপাতত পশ্চিমবঙ্গের বাইরে পোস্টিংয়ে রয়েছেন। তার বিরুদ্ধেও তদন্ত চলছে বলে জানা গেছে। এদিকে গত রাতে গোবিন্দর বাড়ি থেকে বেশ কিছু কাগজপত্র উদ্ধার হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে ।
এই গ্রেপ্তারি নিয়ে ট্যুইট করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় । তিনি অভিযোগ করেন, " চাটার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট মহল থেকে একজন CA গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানতে পারছি। কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ কয়লা এবং গোরু পাচার নিয়ে তদন্তকারী সংস্থাকে টার্গেট করেছে। উর্দির ক্ষমতায় কয়লা এবং গোরু পাচারের তদন্তকারীদের রীতিমত ভয় দেখানোর চেষ্টা হচ্ছে। রাজ্য সরকার এবং প্রশাসন নিরপেক্ষ আচরণ করুক এটাই আমি চাই।" যদিও রাজ্যপালের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে এখনো পর্যন্ত তৃণমূলের তরফে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি । কোনও প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি কলকাতা পুলিশের তরফে।