কলকাতা, 16 ফেব্রুয়ারি : বাম ছাত্র-যুবদের নবান্ন অভিযানে অংশ নিতে এসে মইদুল ইসলাম মিদ্যা নামে এক নেতার মৃত্যু ঘিরে সোমবার উত্তপ্ত হয়েছিল কলকাতা ৷ ওই নেতা পুলিশের লাঠিচার্জের জেরে মারা গিয়েছেন বলে অভিযোগ তোলে সিপিএমের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই ৷ তাই সোমবার কলকাতার তালতলায় ডিওয়াইএফআই-এর অফিসের সামনে পুলিশকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায় ৷ পুলিশের এক আধিকারিককে মারধর ও পোশাক ছিঁড়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে ৷ এই ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করল লালবাজারের গুন্ডা দমন শাখার গোয়েন্দারা । তাকে বাঙ্গুর থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ । ধৃতের নাম সুব্রত সেনগুপ্ত ।
পুলিশের তরফ থেকে জানা গিয়েছে যে ঘটনার সময়ের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে অভিযুক্তকে চিহ্নিত করা হয় ৷ তার পর সুব্রত সেনগুপ্তকে তার বাড়ি থেকেই গ্রেপ্তার করে পুলিশ ৷
উল্লেখ্য, সোমবার মইদুলের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই হাসপাতালের সামনে জড়ো হতে থাকেন বাম যুব-ছাত্ররা । যখন মইদুলের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য বেসরকারি হাসপাতাল থেকে পুলিশ মর্গে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তখন প্রথমবার পুলিশ আধিকারিকদের সাথে তর্কবিতর্কে জড়িয়ে পরে উপস্থিত বাম ছাত্র-যুবরা । কিন্তু তাঁরা হুঁশিয়ারি দেয় যে যে প্রশাসন যদি গোপনে মইদুলের দেহ তার পরিবারের হাতে তুলে দেয় তাহলে সেটা তারা সেটা কিছুতেই বরদাস্ত করবে না ।
আরও পড়ুন :ডিওয়াইএফআই কর্মীর মৃত্যুতে দফায় দফায় উত্তাল কলকাতা, পুলিশকর্মীর উপর চড়াও
এরপর বাম ছাত্র-যুবরা জড়ো হতে থাকে পুলিশ মর্গের সামনে । অপরদিকে মইদুলের মৃত্যুর প্রতিবাদে একই সময়ে এন্টালির দীনেশ মজুমদার ভবনের সামনে জমায়েত করছিল বাম ছাত্র-যুবরা । আচমকাই সেখানে পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পরে বাম ছাত্র-যুবরা । পুলিশের তরফ থেকে অভিযোগ করা হয় যে বিনা প্ররোচনায় এক পুলিশকর্মীর উপর চড়াও হয় ডিওয়াইএফআই কর্মীরা এবং তাঁকে মারধর করে তার উর্দিও ছিঁড়ে দেয় ।