কলকাতা, 23 অগস্ট: অনিশ্চয়তার কালো মেঘ এখনও কাটেনি মহম্মদ আলি পার্কের দুর্গা পুজো নিয়ে । পৌরনিগম ও পুজো আয়োজক দু'পক্ষের অনড় মনোভাবে পুজোর ভবিষ্যৎ কী হবে, তা নিয়ে তৈরি হয়েছিল দোলাচল । তবে এদিন পৌরকর্তারা মাঠ পরিদর্শন করার পর বরফ গলতে শুরু করে।
মহম্মদ আলি পার্কে পরিদর্শনে যান কলকাতা পৌরনিগমের আধিকারিকরা আধিকারিকরা মাঠের বিভিন্ন অংশ পরিদর্শন করেন (KMC officials visits to Muhammad Ali Park) । এরপর পুজো কমিটিকে প্রস্তাব দেওয়া হয় জলাধার নেই এমন জায়গায় অর্থাৎ মাঠের সামনের 10 ফুট জায়গা ও ফুটপাথের 5 ফুট জায়গা নিয়ে তাঁরা মণ্ডপ তৈরি করতে পারেন । মাঠের যে লোহার রেলিং রয়েছে, তা খুলে দেবে পৌরনিগম । তবে কমিটির তরফে পালটা বলা হয়, ইতিমধ্যে মণ্ডপের 80 শতাংশ নির্মাণ হয়ে গিয়েছে ৷ তা খুলে ফের নতুন মণ্ডপ তৈরি কার্যত অসম্ভব । পরে পৌরকর্তারা জানান, যে মণ্ডপ আছে সেখানে কোনওভাবেই নির্মাণকাজ করতে দেওয়া যাবে না ৷ কারণ নিচে জলাধার । ফলে তাঁদের যে বিকল্প প্রস্তাব সেটা পুজো কমিটির সদস্যরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে আগামিকাল পৌরনিগমকে জানাক ।
আরও পড়ুন :জলাধারের উপর মণ্ডপ নির্মাণের অনুমতি নয়, মহম্মদ আলি পার্কের পুজো নিয়ে অনড় পৌরনিগম
এদিন মণ্ডপের সামনের অংশ মাপ ঝোপ করা হয় । পুজো কমিটির তরফে অশোক ওঝা ও রেহানা খাতুন জানান, যে বিকল্প প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে তাঁদের বাকিদের সঙ্গে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেবেন । আগামিকাল পৌর কর্তৃপক্ষকে তাঁদের সিদ্ধান্ত জানাবেন । পাশাপাশি তাঁরা জানান, এমন কিছু করবেন না, যাতে পুজোর সময় কারোর জীবনের ঝুঁকি হয় । আর হাতেগোনা দিন বাকি, তাই ঝামেলায় না-জড়িয়ে শেষমেষ পৌরনিগমের বলে দেওয়া পথে হেঁটেই এবার পুজো আয়োজন করবে মহম্মদ আলি পার্ক কর্তৃপক্ষ (Muhammad Ali Park Durga Puja) ।
এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন, এ বার মহম্মদ আলি পার্কের পুজোর 54 বছর পূর্ণ হচ্ছে ৷ এই পুজো কলকাতার অন্যতম বড় আকর্ষণ ৷ প্রতি বছর প্রচুর মানুষ ভিড় জমান মহম্মদ আলি পার্কের পুজো দেখার জন্য ৷ গত 7 জুলাই খুঁটিপুজো হয় মহম্মদ আলি পার্কে ৷ তার পর থেকেই মণ্ডপ তৈরির কাজ শুরু হয় ৷ এদিন পুজো কমিটির সঙ্গে যৌথ পরিদর্শন করে কলকাতা পৌরনিগম (Kolkata Municipal Corporation) ৷ কেএমসি-র তরফে নেতৃত্বে ছিলেন জল সরবরাহ বিভাগের ডেপুটি চিফ ইঞ্জিনিয়র(ডিস্ট্রিবিউশন) অমিতাভ পাল । আর কমিটির তরফে ছিলেন বরো চেয়ারপার্সন ও স্থানীয় কাউন্সিলর রেহানা খাতুন ।
পৌর আধিকারিকরা মাঠের বিভিন্ন অংশ পরিদর্শন করেন