কলকাতা, 9 জুন: ইটিভি ভারতের খবরের জেরে এবার কমিউনিটি হল ভাড়া দেওয়ার ক্ষেত্রে একগুচ্ছ নতুন নিয়ম চালু করল কলকাতা পৌরনিগম (Kolkata Municipal Corporation) ৷ শহরের 73 নম্বর ওয়ার্ডে পৌরনিগমের স্থানীয় কমিউনিটি হল 'জয় হিন্দ ভবন' (Jai Hind Bhawan Community Hall) ভাড়া দেওয়ার ক্ষেত্রে দুর্নীতির খবর প্রতিবেদন আকারে প্রকাশ করেছিল ইটিভি ভারত ৷
খবর অনুসন্ধানে নেমে আমাদের প্রতিনিধি জানতে পারেন, 100 দিনের কাজের এক কর্মী বেআইনিভাবে 'জয় হিন্দ ভবন' ভাড়া দিয়ে বিরাট অঙ্কের টাকা উপার্জন করেছেন ৷ ইতিমধ্য়েই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কালীঘাট থানায় একাধিক অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে ৷ আর এবার এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি রুখতে 19 দফার নতুন নিয়ম আনল পৌরনিগম কর্তৃপক্ষ। সেই নিয়মাবলী বড় হরফে ছাপিয়ে লাগানো হবে কমিউনিটি হলের প্রবেশ পথের মুখে ৷ বরো দফতরগুলিতেও এই নিয়মাবলী ঝুলিয়ে রাখা হবে ৷ যাতে সাধারণ মানুষ কোনওভাবেই প্রতারিত না হন এবং পৌরনিগমেরও কোনও আর্থিক ক্ষতি না হয় ৷
কমিউনিটি হল ভাড়া নেওয়ার নতুন নিয়মাবলী ৷ কলকাতা পৌরনিগম সূত্রে খবর, নয়া নিয়মের তালিকায় বলা হয়েছে, বরো এগজিকিউটিভ (সিভিল)-এর অনুমতি ছাড়া কোনও কমিউনিটি হল ভাড়া করা যাবে না ৷ শুধুমাত্র ডিমান্ড ড্রাফট দ্বারা সিকিউরিটি ডিপোজিট বা ভাড়ার টাকা জমা দিতে হবে। নগদে কোনও অর্থ নেওয়া হবে না ৷ ভাড়া নিতে হলে ভোটার কার্ডের প্রতিলিপি জমা দিতে হবে। ভাড়ায় ছাড় পেতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি বাধ্যতামূলক ৷ বিদ্যুতের বিল ও হলের ভাড়া আলাদা আলাদাভাবে নেওয়া হবে। কোনও বিশেষ কারণ ছাড়া হল ভাড়া বাতিল করা যাবে না ৷ এক্ষেত্রে পৌরসচিবের অনুমতি লাগবে। এমন নানা নিয়মের তালিকা তৈরি করা হয়েছে ৷ এই তালিকা ইতিমধ্য়েই কর্তৃপক্ষের তরফে অনুমোদন করা হয়েছে ৷ দ্রুত প্রতিটি বরো দফতর ও কমিউনিটি হলের সামনে এই নয়া নিয়মাবলী টাঙিয়ে দেওয়া হবে ৷
আরও পড়ুন:Jai Hind Bhawan Community Hall Corruption: জয় হিন্দ ভবন দুর্নীতিতে এফআইআর কলকাতা পৌরনিগমের
উল্লেখ্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে 'জয় হিন্দ ভবন'-এর দূরত্ব খুব বেশি নয় ৷ তাই এই দুর্নীতির কথা প্রকাশ্যে আসতেই স্বাভাবিকভাবেই ঘটনা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ৷ এই ঘটনার পরও কেন হল কমিউনিটি হল ভাড়া নেওয়ার ক্ষেত্রে অনলাইন বুকিং পরিষেবা চালু করেছে না কলকাতা পৌরনিগম, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা ৷ তাঁদের বক্তব্য, জন্ম, মৃত্যুর শংসাপত্র থেকে শুরু করে ট্রেড লাইসেন্স বা মিউটেশন, সবই অনলাইনে হলে এটি কেন হবে না? কেন হল ভাড়ার টাকা তোলার দায়িত্ব 100 দিনের কর্মীর উপর দেওয়া হবে ? কেন পৌরনিগমের কোনও স্থায়ী কর্মীকে দিয়ে এই কাজ করানো হবে না ? এইসব প্রশ্নের উত্তর অবশ্য এখনও মেলেনি ৷