কলকাতা 22 এপ্রিল : জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ির চারদিকে নোংরা পরিবেশ এবং বেআইনি পার্কিং তৈরি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে ৷ এই নিয়ে এবার কলকাতা পৌরনিগমের অধিবেশনে সরব হলেন সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রাজেশকুমার সিনহা (KMC Councillor Demand Special Zone for Jorasanko Thakurbari Area) । তিনি অধিবেশনে বলেন, ‘‘বিগত কয়েক বছর ধরে এই অবস্থার কোনও উন্নতি হয়নি । ফলে যাঁরা বাইরে থেকে আসেন ঠাকুরবাড়ি দেখতে, ভিতরের অংশ দেখে যতটাই খুশি হন, বাইরের পরিবেশ দেখে ততটাই মানসিকভাবে আহত হন ।’’
তিনি একটি কাগজ তথ্য আকারে জমা দিয়ে বলেন 2012 সালে তৎকালীন মহানগরিক জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ির চারদিক নো পার্কিং জোন ঘোষণা করেছিলেন । তার পর রাজেশ কুমার সিনহা প্রস্তাব আনেন, জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি চারিদিকে স্পেশাল জোন ঘোষণা করে সুন্দরভাবে সংস্কার করা হোক । ফলে যাঁরা বাইরে থেকে আসেন, তাঁরা ঠাকুরবাড়ির ভিতর প্রবেশ করার আগে এক সুন্দর মনোভাব নিয়ে যাবেন এবং আমাদের রাজ্যের পর্যটনে আয় বৃদ্ধি পাবে ।
এই প্রস্তাবের উপর আলোচনা করেন কলকাতা পৌরনিগমের (Kolkata Municipal Corporation) মেয়র পরিষদ সদস্য দেবাশিস কুমার । তিনি জানান, কাউন্সিলরের চিঠি পেয়ে ঘটনাস্থলে আধিকারিকরা যান । জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ি (Rabindranath Tagore's House) আশপাশে অপরিচ্ছন্নতা কিছু ছিল না । কিছু মানুষ তাঁরা কাপড় শুকাতে দেন । পূর্বতন মেয়র নো পার্কিং জোন হিসেবে ঘোষণা করেছেন, কলকাতা পৌরসভার আইন অনুযায়ী এইটা নো পার্কিং জোন করার ক্ষমতা পৌরসভার হাতে নেই । যা করবে তা কলকাতা পুলিশ নির্ধারণ করবে । তবে ওই এলাকায় বেআইনি পার্কিং বন্ধ করতে হবে । স্পেশাল জোন করা যাবে কি না, তা প্রস্তাব হিসেবে রাজ্য সরকারের কাছে পাঠানো হবে ।
কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের বক্তব্য কলকাতা পৌরনিগমের মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Kolkata Mayor Firhad Hakim) বলেন, ‘‘আমরা ওখানে বেআইনি পার্কিংয়ের বিষয়টি পুলিশকে জানিয়েছি । এলাকা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে আমরা সৌন্দর্যায়ন করব । প্রতিবছর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিনে আমি নিজেও সেখানে যাই ।’’
আরও পড়ুন :Local Trains Painting: যাত্রী স্বার্থে 'তুলির টান' লোকাল ট্রেনে