হাওড়া, 16 সেপ্টেম্বর : এ যেন উলটপুরাণ ! ঘোরতর ডিজিটাল যুগে যখন আট থেকে আশি মুঠোফোনে বন্দী, ঠিক তখন ঘুড়ির ব্যবসায় আচমকা জোয়ার ! এমনকী কোরোনা তৎসহ লকডাউনে যেন বা শাপে বর হয়েছে এই ব্যবসার । দেশব্যাপী কোরোনা প্রকোপের জেরে যখন অধিকাংশ ব্যবসাই ধুঁকছে, তখন বিশ্বকর্মা পুজোর আগেভাগে ব্যাপক হারে বিক্রি হচ্ছে ঘুড়ি ৷ গোটা ঘটনায় তাজ্জব খোদ এই ব্যবসায় সঙ্গে জড়িত মানুষেরাও । আসলে চাহিদে হলেও এতটা হবে, ভাবেননি ব্যবসায়ীরা ৷
ঘুড়ির বাজারে উলট পুরাণ, মন্দার দিনে চাঙ্গা ব্যবসা
কোরোনা তৎসহ লকডাউনে যেন বা শাপে বর হয়েছে ঘুড়ির ব্যবসার । বিশ্বকর্মা পুজোতেও চাহিদা তুঙ্গে ৷
এমনিতে স্মার্টফোন এজে, তথ্যপ্রযুক্তির রমরমা সময় অনেকেই জানেন না চাঁদিয়াল কেন চাঁদিয়াল ! চৌরঙ্গী, হাঁড়িকাঠ, ময়ূরপঙ্খির মতো হাজারো ঘুড়ির বিশেষত্বই বা কোথায় ! এমত অবস্থায় বিগত কয়েক বছরে কমে গিয়েছিল ঘুড়ির এক চেটিয়া রাজত্ব । কিন্তু, কোরোনা আর লকডাউনে কীভাবে যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছে সেই ঘুড়ি ! অন্তত ব্যবসায়ীদের দাবি তেমনটাই । এদিকে চাহিদা অনুযায়ী জোগান না থাকায় নিরাশ ব্যবসায়ী থেকে ক্রেতা, সকলেই । আসলে ঘুড়ি মূলত আমদানি হয় উত্তরপ্রদেশ থেকে । আমদানি হয় মাঞ্জা সুতোও । কিন্তু, ট্রেন প্রায় বন্ধ থাকায় আমদানিতে ভাটা, ফলে বাজারেও জোগান কম । যা আক্ষেপের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে ঘুড়ি বিক্রেতা থেকে ঘুড়িপ্রেমিদের কাছে । অনেককেই কিনতে বেরিয়েও খালি হাতে ফিরছেন । তবে, ফের ঘুড়ির দিকে মানুষের মন ঘোরায় খুশি ব্যবসায়ীরা । কিন্তু, কেন, এতখানি ঘুরল মন ?
যেহেতু লকডাউনে ছাদ থেকেও ঘুড়ি ওড়ানো যাচ্ছে, ঘর থেকে না বেরোতে পারলেও ঘাটতি হচ্ছে না আনন্দে !