পুরমন্ত্রী পরিদর্শনে, তড়িঘড়ি বেহাল রাস্তা মেরামত
পুরমন্ত্রী আসার খবর আসতেই KEIP দ্রুত বেহাল রাস্তা মেরামত শুরু করল। নিকাশি নালার কাজ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও রাস্তা মেরামতের কাজ সম্পন্ন হয়নি । এই নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী তথা কলকাতা পৌরনিগমের মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম ।
কলকাতা, 9 নভেম্বর : পুরমন্ত্রী আসার খবর পেয়ে তড়িঘড়ি রাস্তা মেরামতের কাজ শুরু করল KEIP। শনিবার টক টু KMC তে বেহালার 126 নম্বর ওয়ার্ডের রাখাল মুখার্জির রোডের বেহাল দশার অভিযোগ ফোনে জানান এক নাগরিক। এই অভিযোগ পাওয়ার পরেই উপস্থিত বিভাগীয় ইঞ্জিনিয়রের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করেন কলকাতা পৌরনিগমের মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম। নিকাশি নালার কাজ শেষ হয়ে যাওয়ার পরও কেন রাস্তা মেরামতের কাজ সম্পন্ন হয়নি এই বিষয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি। এর পরে তিনি সিদ্ধান্ত নেন, বেহালার রাখাল মুখার্জির রোডের বেহাল দশা নিজে পরিদর্শন করতে যাবেন । যদিও উপস্থিত KEIP-র বিভাগীয় ইঞ্জিনিয়র দাবি করেছিলেন, নিকাশি নালার কাজ শেষ হয়ে যাওয়ার পর এই রাস্তা মেরামতের কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে । সেইমতো আজ সকালে সরশুনায় রাখাল মুখার্জি রোড উপস্থিত হন পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী তথা কলকাতা পৌরনিগমের মুখ্য প্রশাসক ।
পুরমন্ত্রীকে সামনে পেয়ে 126 নম্বর ওয়ার্ডে স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষোভ উগরে দেয় ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও পৌর প্রশাসনের একাংশ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে। নিকাশি নালার কাজ শেষ হয়ে গেলেও রাস্তা মেরামত না করেই চলে যায় KEIP। খানাখন্দে ভরা এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করা দুর্বিষহ হয়ে উঠেছিল স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে। বৃষ্টির জল জমে দুর্ঘটনা প্রবল হয়ে উঠেছিল এই রাস্তা। এদিন পুরমন্ত্রী পরিদর্শনে আসবেন সেই খবর পেয়েই KEIP তড়িঘড়ি দ্রুত বেহাল রাস্তা মেরামতের কাজ শুরু করে। রাস্তা পরিদর্শন করার পর পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, অসমাপ্ত কাজ দ্রুত শেষ করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন বোরো ইঞ্জিনিয়রকে। সেই সঙ্গেই এলাকায় একটি পুকুর রয়েছে। সেই পুকুরটা বন্ধ করে বেআইনি নির্মাণের চক্রান্ত করা হয়েছিল। দু-তিন দিনের মধ্যেই অসমাপ্ত কাজ সম্পূর্ণ হয়ে যাবে। সেই সঙ্গেই পুকুরটিকে আবর্জনা মুক্ত করে সংস্কার করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
সেই সঙ্গেই এ দিনের বৈঠকে একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের কথা তিনি জানান। শহরে যত পুকুর আছে, পুকুরগুলো বোরোর অধীনে থাকবে। পুকুরের সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব থাকবে বোরো অফিস। শহরের যত জলাশয় আছে সেগুলি দেখভালের দায়িত্ব এবার থেকে বোরো অফিসগুলির।