কলকাতা, 28 জুন : বুদ্ধিমান হওয়া সত্ত্বেও প্রবল খামখেয়ালি ৷ শুধুমাত্র এই কারণেই শিক্ষাগত যোগ্যতায় খুব বেশি দূর এগোতে পারেনি কসবা টিকা কেলেঙ্কারির ‘নায়ক’ দেবাঞ্জন দেব (Debanjan Deb) ৷ আর সম্ভবত, সেই জন্যই গোটা শিক্ষা ব্যবস্থাটাকেই নিজের মুঠোয় পোরার স্বপ্ন দেখত সে ! অন্তত এমনটাই দাবি তদন্তকারীদের ৷ তাঁদের হাতে আসা তথ্য বলছে, দেবাঞ্জনের পরের লক্ষ্য ছিল, একটি অনলাইন কোচিং ক্লাসের চেইন খোলা ৷ তবে সেই সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠার আগেই পুলিশের জালে ধরা পড়ে যেতে হল তাকে ৷
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, করোনা এবং লকডাউন আবহকে কাজে লাগিয়ে এবং তার ভুয়ো আইএএস আধিকারিকের পরিচয়কে ঢাল করে শহরের বিভিন্ন বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করতে শুরু করেছিল দেবাঞ্জন ৷ উদ্দেশ্য ছিল, এইসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যৌথভাবে অনলাইন কোচিং ক্লাসের কাজ আরম্ভ করা ৷
আরও পড়ুন :Kasba Vaccine Controversy : তৃণমূল নেতৃত্বকে কাঠগড়ায় তুলে সিবিআই তদন্ত দাবি সায়ন্তনের
দেবাঞ্জনের বাড়ি কলকাতার আনন্দপুর থানা এলাকার 218 নম্বর মাদুরদহে ৷ সেই বাড়িতে ইতিমধ্যেই একাধিকবার তদন্ত চালিয়েছে পুলিশ ৷ আর সেই তল্লাশিতেই একাধিক নথিপত্র বাজেয়াপ্ত করেছে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ ৷ সেইসব তথ্যপ্রমাণ ঘেঁটেই দেবাঞ্জনের এই পরিকল্পনার কথা জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা ৷ এই বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হচ্ছে ৷
কলকাতা শহরে এমন বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যেখানে সরকারি চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য ছাত্রছাত্রীদের প্রাশিক্ষণ দেওয়া হয় ৷ রাজ্যের বহু প্রাক্তন আমলা ও উচ্চপদস্থ সরকারি আধিকারিক তাঁদের প্রশিক্ষণ দিতে আসেন ৷ দেবাঞ্জন এই প্রতিষ্ঠানগুলির সঙ্গে কাজ করতে চাইছিল ৷ যাতে তাদের প্রতিষ্ঠা ও সুনাম ব্য়বহার করে সহজেই প্রচুর পরিমাণে ছাত্র-ছাত্রী জোগাড় করা যায় ৷ পাশাপাশি, এতে তার শিক্ষামহলে পরিচয় ও যাতায়াতও বাড়ত ৷
দেবাঞ্জন নিজে আইএএস হতে পারেনি ৷ কিন্তু তার স্বপ্ন ছিল, ভবিষ্যতের আইএএসদের গড়ার ! অর্থাৎ, তার তৈরি অনলাইন কোচিং সেন্টার থেকে প্রশিক্ষণ নিয়েই আমলা পদে চাকরি পাবেন তরুণ-তরুণীরা ৷ পুলিশের দাবি, জেরার মুখে একথা স্বীকারও করেছে দেবাঞ্জন ৷