জয় শ্রীরামে অপমানিত মমতা, এ কেমন রাজনীতি : কৈলাস

নেতাজির জন্মজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে জয় শ্রীরাম বিতর্ক৷ শনিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উদ্দেশ্য করে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি দেওয়া হয়৷ মুখ্যমন্ত্রী রাগে অনুষ্ঠানের ভাষণ বয়কট করেন৷ আর এই নিয়েই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক৷

কলকাতা, 23 জানুয়ারি : নেতাজির জন্মজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে জয় শ্রীরাম বিতর্ক৷ শনিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উদ্দেশ্য করে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি দেওয়া হয়৷ মুখ্যমন্ত্রী রাগে অনুষ্ঠানের ভাষণ বয়কট করেন৷ আর এই নিয়েই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক৷

বিজেপি নেতারা এই নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনায় সরব হয়েছেন৷ মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করে টুইট করেছেন বিজেপির দুই কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় ও অমিত মালব্য৷

এই রাজ্যে বিজেপির সহ-পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় টুইট করেছেন, ‘‘জয় শ্রীরাম ধ্বনিকে স্বাগত জানানো হল৷ মমতাজি অপমানিত হলেন৷ এ কেমন রাজনীতি!’’ অন্যদিকে বিজেপির আইটি সেলের প্রধান ও এই রাজ্যে দায়িত্বপ্রাপ্ত অমিত মালব্য টুইটারে লিখেছেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর আগে বিশ্বভারতীর শতবার্ষিকী অনুষ্ঠানে না গিয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে অপমান করেছিলেন৷ নেতাজির জন্মজয়ন্তীতে ভাষণ না দিয়ে তিনি একই কাজ করলেন৷ বাংলার মানুষ এটা সহ্য করবেন না৷’’

শনিবার ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর 125 তম জন্মজয়ন্তী পালনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল৷ ওই অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ তিনি ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে নেতাজির স্মৃতি সংক্রান্ত স্মারক পরিদর্শন করেন৷ পরে নেতাজির স্মরণে ডাকটিকিট, কয়েনের সূচনা করেন৷ পরে জানান যে এই দিনটি এখন থেকে প্রতি বছর পরাক্রম দিবস হিসেবে পালন করা হবে৷

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও গোড়া থেকেই উপস্থিত ছিলেন৷ কিন্তু ভাষণ দেওয়ার জন্য যে মুহূর্তে তাঁর নাম ঘোষণা করা হয়৷ সেই মুহূর্তেই দর্শকাসন থেকে কয়েকজন ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি দেন৷ এর জেরে চূড়ান্ত রেগে যান মমতা৷ তিনি বলেন, ‘‘এটা সরকারি অনুষ্ঠান৷ কোনও রাজনৈতিক দলের অনুষ্ঠান নয়৷ এভাবে কাউকে ডেকে অপমান করার কোনও মানে হয় না৷ তাই আমি ভাষণ দেব না৷’’

তা নিয়ে হইচই পড়ে যায় সর্বত্র৷ অধিকাংশ লোকই এই ঘটনার তীব্র সমালোচনা করেছেন৷ কিন্তু বিজেপি মনে করছে যে এতে নেতাজিকে অপমান করা হয়েছে৷